আমি নিজেই মায়ের বিয়ে দিয়েছি: নুহাশ

‘আমি নিজে থেকে মায়ের বিয়ে দিয়েছি। আর এটা লুকানোর কিছু নেই। সামনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও হবে। এটা নারীদের জন্য নতুন একটা দ্বার উম্মোচন হলো বলতে পারেন’- কথাগুলো হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খানের বড় ছেলে নুহাশের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় রয়েছেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান। বিয়ের খবর দিয়ে তিনি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন।

গণমাধ্যমে বড় ছেলে নুহাশ মায়ের বিয়ে নিয়ে নিজের মতামতও দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, মা শক্ত হাতে আমাদের বড় করেছেন। কখনো কোনো অভাব বুঝতে দেয়নি। মা সবসময়ই আমাদের কাছে আইডল। মা যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আমার কোনো দু:খবোধ ছিল না। বরং আমি অনেক খুশি হয়েছি।

নব-দম্পতির জন্য দোয়া চেয়ে নুহাশ আরও বলেন, ‘আমি মায়ের সঙ্গেই ছিলাম এ ব্যাপারে। তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।’

জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। নতুন জীবন শুরু করায় প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন গুলতেকিন। তবে সবার মনেই কৌতুহল মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন তার ছেলেমেয়েরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিয়েটা ছিলো সবার সম্মতিক্রমেই। গুলতেকিন তার সন্তানদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন নতুন করে জীবনটা শুরু করার জন্য।

তথ্যমতে, গত অক্টোবরের শেষের দিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে ১০ বছর আগে। তাদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন। অন্যদিকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে গুলতেকিনের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ এ। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর সাত বছর পর বিয়ে করলেন তিনি।

জানা গেছে, বিয়ের পর আমেরিকায় চলে গেছেন গুলতেকিন। শিগগিরই সেখান থেকে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করার কথাও রয়েছে। প্রায় সাত-আট বছর ধরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদের সঙ্গে গুলতেকিনের বন্ধুত্ব। তাদের এই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে গড়ায়। সেই প্রেমের পরিণতি এই বিয়ে।

গত মাসের শেষের দিকে গুলতেকিন তার ফেসবুক পেজে যৌথ ঘোষণা শিরোনামে ‘এবার বাতাস উঠুক তুফান ছুটুক’ স্ট্যাটাস দেন। এতে তার প্রিয়জনরা তাকে অভিনন্দন জানান।

এদিকে ৫ নভেম্বর আফতাব আহমেদ তার ফেসবুকে ইংরেজিতে যে স্ট্যাটাস দেন তার অর্থ হলো, ‘তিনি আমাকে তার সামনে বসালেন এবং আমার হাতে হাত রেখে বললেন, ‘প্রত্যেকেরই মৃত্যুর স্বাদ পেতে হবে। কিন্তু আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই না। আমি নিঃশ্বাস নিতে চাই। তবে নিশ্চিত নই ভবিষ্যৎ কোন নিয়তিতে গাঁথা।’

আফতাব আহমেদ ও তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে ১০ বছর আগে। তার একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন। অন্যদিকে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদকে বিয়ে করেছিলেন গুলতেকিন। তাদের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ সালে। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ২০০৫ সালে শাওনকে হুমায়ূন বিয়ে করলেও গুলতেকিন এতদিন করেননি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর সাত বছর পর বিয়ে করলেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ