অবশেষে সৌদি থেকে ফিরছেন সেই সুমি

সৌদি আরবে গৃহকর্তার নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি নারী শ্রমিক সুমি আক্তারকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সুমি পঞ্চগর জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

নাজরান শহরের শ্রম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিশ্চিত হয় বলে জানান জেদ্দা কনস্যুলেটের কার্যালয় প্রধান মোস্তফা জামিল খান। শুক্রবার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।

জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান সুমি আক্তার। বিনামূল্যে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে দালালরা তাকে বিক্রি করে দেয়। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মারধর আর যৌনহয়রানিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে ভিডিওতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেই নির্যাতনের কথা তুলে ধরে দেশে ফেরার আকুতি জানান সুমি।

তার পরিবার জানায়, আগের স্ত্রীর কথা গোপন করে তাকে বিয়ে করে নুরুল ইসলাম। সেখানেও সতীনের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পরে উপার্জনের আশায় সৌদি আরবে যান সুমি।

পরে জেদ্দা কনস্যুলেটের হস্তক্ষেপে সুমিকে নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। শুরুতে সুমির নিয়োগকর্তার দাবিকৃত ২২ হাজার সৌদি রিয়াল পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে ফাইনাল এক্সিট- অর্থাৎ দেশে ফিরতে দেয়া হবে না বলে জানালেও পরে নাজরান শহরের শ্রম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। আদালত, সুমির দেশে ফেরার আবেদন মঞ্জুর করায় তার দেশে ফেরায় আর কোন বাধা নেই বলে জানায় জেদ্দা কনস্যুলেট।


সর্বশেষ সংবাদ