০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:০৬

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় বাড়তি সতর্কতা

  © ফাইল ফটো

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র শক্তি আরো বেড়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্রির মধ্যে এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, এর প্রভাবে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ চলাকালীন ও ঘূর্ণিঝড় শেষে উদ্ধারকার্যসহ যেকোনো সহায়তার জন্য প্রস্তুত আছে কোস্ট গার্ড। জরুরি সহায়তার জন্য নিম্নোক্ত ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে-

বরিশাল বিভাগ-০১৭৬৬৬৯০৬০৩, খুলনা বিভাগ-০১৭৬৬৬৯০৩৮৩, চট্টগ্রাম বিভাগ-০১৭৬৬৬৯০১৫৩ এবং অতিরিক্ত -০১৭৬৬৬৯০০৩৩।

এদিকে সাতটি জেলা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অতিঝুঁকিতে আছে। জেলাগুলো হলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় উপকূলবর্তী সকল জেলা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার জনগণকে।