উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পারলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কথা কথায় দুর্নীতির অভিযোগ। এ অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। তথ্য দিতে হবে। তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এছাড়া এভাবে আন্দোলন, ভাংচুর একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে এভাবে আন্দোলন মেনে নেয়া যায় না।’

এসময় ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আবরারের মৃত্যুকে গর্হিত অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আয়োজকদের একটা দায়িত্ব থাকে। ধানমণ্ডিতে এত হাসপাতাল থাকলেও শক খাওয়া ছাত্রটিকে মহাখালীর প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো কিভাবে এ ধরণের ঘটনা ঘটায়। এটা একটা গর্হিত অপরাধ, যা বরদাশত করা যায় না।’ এসময় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অবহেলার কারণেই আবরারের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পড়ুন: আবরারের মৃত্যুর ঘটনা বরদাশত করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

গতরাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে বের হয়ে পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। 

এদিকে, উপাচার্য পদত্যাগ দাবিতে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলিয়ে যাবে তারা। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ বৃহস্পতিবার জাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানো, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কনসার্ট।

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলন ঠেকাতে মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর বুধবার রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বুধবার রাতে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণাকে প্রশাসনের ‘অবৈধ’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দেন এবং  সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন।


সর্বশেষ সংবাদ