প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে আবরারের মা-বাবা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা-মা। সোমবার বিকেল ৫টার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া বেগম। এছাড়া আবরারের ছোটভাই ফায়াজও গণভবনে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে নভেম্বরের শুরুর দিকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হতে পারে। আজ সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল এ কথা বলেন।

মনিরুল বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসেছে যে, তাঁরা শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে মারপিট করছিলেন। একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, আবরারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করা হয়েছে, নাকি মারপিটের জন্য মারপিট করা হয়েছে, সে ব্যাপারে তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে জানা যাবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, কারও কারও জবানবন্দিতে এসেছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়েছে।

আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৫ জন রয়েছেন। পুলিশের তদন্তে নাম আসায় বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার। এরপর গত রবিবার রাতে আবরারকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে বেধড়ক পেটান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করা হয়। নির্মম পিটুনিতে আবরার মারা যান।


সর্বশেষ সংবাদ