গ্রাম্য সালিশে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে

বিয়ের মাত্র ১০ দিন পর নববধূকে তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করার ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় গত শনিবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার কড়িয়াটাআটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামে ওই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের পরদিন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান নববধূর মা। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তিনি মেয়ে ও জামাতাকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফেরেন। শনিবার সকালে তার মেয়ে জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন না। এরপর শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

এ সময় শাশুড়ি জানান, মেয়ে সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সঙ্গে সংসার করবেন। এ অবস্থায় ওই নারীর স্বামী গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। সালিশে হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শাশুড়ি ও জামাতাকে মারধর করা হয়। এরপর পরিবারের সম্মতিতে স্ত্রীকে তালাক দেন নববিবাহিতার বাবা। এরপর তার জামাতাও নববধূকে তালাক দেন। একই সময়ে সবার উপস্থিতিতে জামাতার সঙ্গে শাশুড়ির বিয়ে সম্পন্ন হয়।

হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি জিনাত এসব কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম্য মাতবর এবং ওই পরিবারের সব সদস্যের সম্মতিতে দুটি তালাক এবং একটি বিয়ের কাজ একই অনুষ্ঠানে সম্পন্ন করা হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়িকে বিয়ে করার ঘটনায় স্থানীয়দের আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে তাদের শাস্তি দেয়া হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার জানান, শাশুড়িকে বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সবার সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়েতে সম্মতি দেন বলে জানান।


সর্বশেষ সংবাদ