১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:১৪

শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় টিআইবি

  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বুয়েটছাত্র আররার হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ বুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের শোর ওঠার মধ্যে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানও একই দাবি জানান।

তিনি বলেন, আবরার হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিনের লালিত মরণব্যাধির লক্ষণ মাত্র। এর প্রতিকার সরকারেরই হাতে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবের ইতিহাস স্মরণ করেই ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের ক্রান্তি লগ্নে শিক্ষার্থীরাই বারবার সোচ্চার হয়েছেন, কার্যত জাতিকে পথ দেখিয়েছেন, সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আজ তাদেরই উত্তরসূরিদের ব্যবহার করা হচ্ছে হীন রাজনৈতিক স্বার্থে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের প্রক্রিয়ায় তারা অন্যতম সহযোগীতে পরিণত হয়েছে। দলীয় রাজনীতিকে যুক্ত হয়ে শিক্ষকরাও ছাত্রদের সুপথ দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান।

আমাদের প্রত্যাশা এবং দাবি, এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন; দলীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম বন্ধ করুন; সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে ছাত্র সংগঠন বিকশিত হবার পরিবেশ সৃষ্টি করুন; শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক-কমকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের দলীয় রাজনীতি বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিন এবং সকল ধরনের দলীয় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও যোগসাজশ বন্ধ করুন।

বুয়েটের ঘটনার পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আরও মহল থেকেও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে।

এছাড়া গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে, তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে সিপিবি সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখলদারিত্ব বন্ধ করে বরং ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করতে হবে।