‘ভূতের আড্ডায়’ অভিযান, বাতি জ্বালাতেই তরুণ-তরুণীর অপ্রীতিকর দৃশ্য

  © সংগৃহীত

তরুণ-তরুণীদের কাছে পছন্দের এক রেস্টুরেন্টের নাম ভূতের আড্ডা। রেস্টুরেন্টের ভেতরে যেন ভিন্ন এক জগৎ; অন্ধকার ও নিরিবিলি পরিবেশ। আলো জ্বালাতেই চক্ষু চড়কগাছ! দেখা গেল জোড়ায় জোড়ায় তরুণ-তরুণী বসে আছে। এদের অধিকাংশই অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল। শনিবার ঢাকার শনির আখড়ায় ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিম। এ সময় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

রেস্টুরেন্টের পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে-নানা স্বাদের খাবার নয়, অনৈতিক কাজের ‘নানা স্বাদ’ দিতেই যেন এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ ভোক্তারা পরিবার নিয়ে এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিব্রতও হচ্ছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আবদুল জব্বার মন্ডল বলেন, শনির আখড়ায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের ভেতরে তরুণ-তরুণীরা খুবই আপত্তিকর অবস্থায় বসে ছিল। রেস্টুরেন্টটি খাবার বিক্রির চেয়ে অসামাজিক কার্মকাণ্ডকেই বেশি উৎসাহ দিচ্ছে। ভূতের আড্ডার ভেতরে খাওয়ার পরিবেশ নেই, যদিও এটি খাবারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, রেস্টুরেন্টের বাইরে চাকচিক্য থাকলেও রান্নাঘরের চিত্র উল্টো। নামি এই প্রতিষ্ঠানের রান্নাঘরে প্রবেশ করেই দেখা যায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তারা নোংরা পরিবেশে সব খাবার তৈরি করছে। এসব অপরাধে এই রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়াও এদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার ও খাদ্যপণ্য তৈরি, মোড়কজাত পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না লেখা এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করার অপরাধে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা, রস ভান্ডারকে ৫ হাজার টাকা, সূর্যেবানু রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকা, আজওয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রিকে ২০ হাজার টাকাসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই অভিযানে কদমতলী থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলে জানান তিনি।