অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

শুক্রবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

অধ্যাপক মোজাফফর দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিতসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য ঘন ঘন তাকে হাসপাতালে আনতে হয়েছে। এবারের অসুস্থতা ছিল বেশ গুরুতর। বুকে কফ জমে যাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার।

এর আগে মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হয়। সামরিক বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার জানায়।

মুজিবনগর সরকারের ছয়জন উপদেষ্টার মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। গত ১৪ আগস্ট অধ্যাপক মোজাফফরকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বাংলাদেশসহ বাম ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতিতে কিংবদন্তিতুল্য মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজেকে তিনি সব সময় দকুঁড়েঘরের মোজাফফর’বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।

মোজাফফর আহমদের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৩৭ সালে। তিনি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।

১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানস্বরূপ সরকার ২০১৫ সালে তাকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করলেও তিনি সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেন।