গুলি করলেও থামেনি মহিষটি, ২৬ ঘন্টা পর ধরলেন পশু কর্মকর্তা

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় কোরবানির সময় হঠাৎ লাফিয়ে উঠে শিংয়ের গুঁতোয় ১১ জনকে আহত করা মহিষটি অবশেষে ধরা পড়েছে।২৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকলা বিলে প্রায় ৭০ মিটার দূর থেকে চেতনানাশক ওষুধ নিক্ষেপ করে মহিষটিকে ধরা হয়।

এর আগে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে মহিষটি উদ্ধারে ঢাকার এক পশু কর্মকর্তার সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানার পশু কর্মকর্তা নাজমুল হক মহিষটি উদ্ধারে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যান।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, ঈদের সোমবার দুপুরের পর থেকে ওই মহিষটি উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলেও সেটি সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকার চিড়িয়াখানা থেকে আগত এক কর্মকর্তা, পুলিশ ও জনগণের সহায়তায় মহিষটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ঈদের দিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার যুগিহাটি গ্রামে আরিফুল সরকারের বাড়িতে কোরবানি দেয়ার সময় হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে মহিষটি। এ সময় মহিষটির গুঁতোয় ১১ জন আহত হন।

ঈদ উপলক্ষে যুগিহাটি গ্রামের আরিফুল ইসলামের একটি মহিষ কয়েকজন মিলে কোরবানি দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মহিষটি মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে। পরে সেখানে থাকা একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১১ জনকে আহত করে মহিষটি। এরপর ভূঞাপুর উপজেলার কাগমারি পাড়ায় চলে যায় মহিষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপর ভূঞাপুর থানা পুলিশ ওই মহিষকে থামাতে গুলি ছোড়ে। তবে সেটি মহিষের গায়ে লাগেনি।

পুলিশ জানায়, উৎসুক জনতা ভিড় করায় মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলার বিল নিকলা গ্রাম থেকে মহিষটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিটু চৌধুরী বলেন, এর আগে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দের নির্দেশে ক্ষিপ্ত ওই মহিষকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। ততক্ষণে মহিষটি দেখতে আশপাশের হাজারও উৎসুক মানুষ চলে আসে। বারবার উৎসুক জনতাকে সরতে মাইকে ঘোষণা দেয়া হলেও কেউ সরেনি। ফলে মহিষটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে ঢাকার চিড়িয়াখানা থেকে আগত এক কর্মকর্তার সহায়তায় মহিষটি উদ্ধার করা হয়।