ঘরের মাঠেই ডেঙ্গু হয়েছিল সাকিবের

  © সংগৃহীত

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কত, সেটা সাকিব নিজেও একবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ চলছিল। হঠাৎই খবর— ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সাকিব! টিম হোটেল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো অ্যাপোলো হাসপাতালে। ছিটকে পড়েছিলেন সিরিজ থেকেও।

ডেঙ্গুর সে ভয়াবহতা উপলদ্ধি করে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলে এডিস মশা নির্মূলে নিজেই নেমে গেলেন ফগার মেশিন নিয়ে। ব্যাট-বল হাতে বাংলাদেশ দলের হয়ে কতই তো লড়াই করেছেন। আজ সাকিব আল হাসান লড়াইয়ে নামলেন ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিলেন স্কুলটির ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে।

উদ্যোগটা সাকিবেরই ছিল। নিজে বনানীতে থাকেন। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ওখানেই কিছু করার ভাবনা থেকেই সামাজিক এ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। বেছে নিলেন প্রায় ছয় হাজার ছাত্রছাত্রীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলকে। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের চাওয়া এই ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে তাঁর বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে। তাদের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে।

স্কুলে বসেই সাকিব বলছিলেন, ‘আমরা সবাই ঢাকায় বসবাস করি, আমাদের একটা দায়িত্ব আছে এই শহরকে ভালো রাখার। সে জন্যই মনে হয়েছে আমারও কিছু করা উচিত।’

আজ ‘পুরোনো শত্রু’ এডিস মশা মারতে গিয়ে সেই ভয়াল স্মৃতি উঁকি দিল আরেকবার, ‘আমারও একবার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিল। আমি জানি, এটা কতটা কষ্টের।’ সাকিবের তাই আহ্বান, ‘দেশের অনেকে আক্রান্ত হয়েছে, অনেকে মারা যাচ্ছে। যারা সচেতন মানুষ, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বড় বড় পর্যায়ের অনেকে মারা গিয়েছেন।

সাকিব বলেন, এটা আমাদের জন্য ভয়ানক বিষয়। আমার মতো এ রকম যদি সবাই সচেতনতা তৈরি করতে পারে এই রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া সহজ হবে। সবার উচিত এ সম্পর্ক সচেতনতা বাড়ানো। যদ্দুর জানি বনানী বিদ্যানিকেতনে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী আছে। মানে সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। তারা যদি একটা পরিবারকেও বলে, ১৩ হাজার পরিবার জেনে যাচ্ছে। এটা যদি সামান্যও কাজে আসে মনে করি এ প্রচারণা সার্থক হবে।


সর্বশেষ সংবাদ