ভিডিও বার্তায়ও প্রিয়া সাহা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছেন। প্রিয়া সাহা তার গবেষণা উদ্ধৃত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন এর কোন ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া অধ্যাপক আবুল বরকতের গবেষণায় প্রিয়া সাহার কোন ভূমিকা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।

আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠির আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র।

এর আগে ট্রাম্পকে বলা ৩৭ মিলিয়ন গুম হয়ে যাওয়া পরিসংখ্যান নিয়ে প্রিয়া সাহা ভিড়িও বার্তায় বলেন, ‘২০০১ সালের পরিসংখ্যান বইয়ের সংখ্যালঘু যে চাপ্টার রয়েছে সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা রয়েছে। প্রতি বছর সরকার যে আদমশুমারি বের করে সেই রিপোর্ট অনুসারে দেশভাগের সময় জনসংখ্যা (সংখ্যালঘু) ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর এখনকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা হচ্ছে ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন দেশের মোট জনসংখ্যা ১৮০ মিলিয়নের মতো। তো সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা একইভাবে বৃদ্ধি পায়নি। ফলে আমি ক্রমাগতভাবে হারিয়ে গেছে বলে যে সংখ্যা বলেছি সেটা মিলে যায়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বইয়ের ওপর ভিত্তি করে অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণায় উনি দেখিয়েছেন, প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। আমি ২০১১ সালে স্যারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছিলাম এ কারণে এ বিষয়ে অবহিত।’


সর্বশেষ সংবাদ