যমুনা নদীর পানি বাড়ায় ৬০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় জেলার সারিয়াকান্দিতে নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও সোমবার দুপুরে বিপদ সীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ৬০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এদিকে বন্যার কারণে যমুনা নদী বেষ্টিত পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৯টি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ১২ হাজার পরিবারের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চারমাস পরেই শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি পরীক্ষা। কিন্তু বন্যায়ে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম জানান,শিক্ষার্থীদের পাঠদান যাতে ব্যহত না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বগুড়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে যমুনার তীরবর্তী ৪৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোন ক্ষতি হবে না এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধক স্থাপনাগুলোও যথেষ্ট ভাল অবস্থা রয়েছে।

বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আজহার আলী মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারিয়াকান্দিতে এক হাজার এবং সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ