বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঝুকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষিকা
ঝুকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষিকা  © সংগৃহীত

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। সেখানে আগামীর প্রজন্মরা বিদ্যা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টির কক্ষের ছাদের বিম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। যেকোন মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরণের দুঘর্টনা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

জানা গেছে, ১৯১৪ সালে কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিদ্যালয়টি। ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর থেকে একটি ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনের জন্য বরাদ্দ পাওয়ার পর তৈরি করা হয় স্কুলের ভবনটি।

গত ২-৩ বছর আগে ভবনটির ৩ কক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরে। দিন দিন সেই ফাটল বাড়ছেই। গত কয়েক মাস আগে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুটা মেরামত করে ছিল। আবার একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। বর্তমানে নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে এই বিদ্যালয়টি। প্রতি বছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের বিমসহ এই সব ফাটল।

কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার জানায়, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করছি। দ্রুত এই সমস্য সমাধান না হলে যে কোন মুহূর্তে দুঘর্টনা ঘটতে পারে।

কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কামরুন নাহার জানান, বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ১৫০ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহন করছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।

কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এই সব সমস্যার কারণে ইতোমধ্যেই ৩৫ টি বিদ্যালয়ের তালিকা নিয়েছি। যাচাই বাছাই করে আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ