রোহিঙ্গারা ‘বাঙালি’— বলছে মিয়ানমারের বৌদ্ধরা

  © টিডিসি ফটো

রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ আখ্যা দিয়েছে মিয়ানমারের কট্টরপন্থী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। সম্প্রদায়টি বলছে, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় রাখাইন রাজ্যসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে বসতি গড়তে শুরু করে।

নিষিদ্ধ ঘোষণা সত্ত্বেও মিয়ানমারের কট্টর জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সংগঠন মা বা থা’কে অর্থ সহায়তা দেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। সোমবার বৌদ্ধ ধর্ম পুরোহিত ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সমাবেশে রোহিঙ্গাদের বিদেশি আখ্যা দেন সংগঠনটির নেতারা।

সম্প্রদায়টির দাবি, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। আর এ জন্য দেশটির নেত্রী অং সান সু চিকেও দায়ী করেন তারা। সু চির সমালোচনার পাশাপাশি আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সু চি’র দল এনএলডিকে ভোট না দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

মূলত রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা ও নির্যাতনের জেরেই ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। ধর্মীয় উস্কানির দায়ে ২০১৭ সালে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে মিয়ানমার সরকার।

এদিকে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মারাত্মক ভুল করেছে সংস্থাটি। সমন্বিত পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা পরিষদে যথেষ্ট সমর্থন না পাওয়ার কারণেই সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।

গুয়াতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘদূত গার্ট রোজেন্টের লেখা ৩৪ পৃষ্ঠার এক ইন্টারনাল রিভিউয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মারাত্মক ভুল করেছে জাতিসংঘ। সমন্বিত পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা পরিষদে যথেষ্ট সমর্থন না পাওয়ার কারণেই সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। আর এ কারণেই ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা বিরোধী হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে পারেনি সংস্থাটি।


সর্বশেষ সংবাদ