ট্রেনের টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও উপচে পড়া ভিড়

ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে কর্মস্থল থেকে গ্রামে বা বাড়ি ফিরতে বাস বা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহে ব্যস্ত ঘরমুখো মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে রেলস্টেশনগুলোতে ট্রেনের টিকেটের জন্য লোকে লোকারণ্য। রোববার দেয়া হচ্ছে ৪ জুনের টিকিট। এ্যাপে টিকিট না পেয়ে অনেকেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়ান। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে টিকিট না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন। আজ রোববার ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ হচ্ছে।

টিকিট পেতে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ভিড় করেছেন বাড়ি ফেরা মানুষ। টিকিট পেতে কেউ দাঁড়িয়েছেন শনিবার মধ্যরাত থেকে আবার কেউবা সন্ধ্যা থেকেই অপেক্ষা করছেন। সকাল ৮টা থেকে দেয়া শুরু হয় ৪ জুনের আগাম টিকিট। এদিন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় টিকিটের চাহিদা রয়েছে বেশি।

একইভাবে অগ্রিম টিকিট ক্রয়ে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে চলছে শেষ দিনের যুদ্ধ। গত চার দিনের মতো রোববার শেষ দিনেও অনলাইনে এবং অ্যাপ থেকে টিকিট কিনতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। তাই সবাই ছুটে এসেছেন স্টেশনে।

ঈদের টিকেটের আশায় ছুটে এসেছেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে আছেন টিকিটের আশায়। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যে বা যারা কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট হাতে পাচ্ছেন তাদের চোখে-মুখে যেন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। আর যারা এখনও পাননি তাদের মুখ মলিন। এসব ব্যক্তির অভিযোগেরও শেষ নেই।

টিকিট কালোবাজারি রোধ ও যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে এ বছর ৫০ ভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাপস ব্যবহার করে টিকিট কিনতে না পারায় অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে কী লাভ হলো সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা? সেই সঙ্গে মাঝে মাঝেই সার্ভার হ্যাংয়ের অযুহাতে টিকিট বিক্রি স্থগিত থাকায়ও ক্ষোভ জানান তারা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এবার ভিড় কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অ্যাপস থেকে টিকিট কিনতে না পেরে সবাই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তারপরও আশা ছাড়ছি না। '

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সূত্র জানায়, আজ (২৬ মে) শেষ দিনে দেয়া হচ্ছে ৪ জুনের টিকেট। একইভাবে আগামী ২৯ মে থেকে ঈদ পরবর্তী রিটার্ন টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ওই দিন দেয়া হবে ৭ জুনের টিকেট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন বিক্রি করা হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের অগ্রিম টিকেট।

টিকিট প্রত্যাশীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেষ দিনে চাপ বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিনের মতো আজও অ্যাপসসহ ১২হাজার টিকিট দেয়া হয়েছে। সীমিত টিকিট, চাহিদা বেশি। বিষয়টি সকল যাত্রী সাধারণকে বোঝার অনুরোধ জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ