ঢাবিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়।  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ নাট্যোৎসব’ শুরু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধকের বক্তব্যে আখতারুজ্জামান বলেন, নাটক হচ্ছে সমাজের দর্পণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজের কাছে একটা মৌলিক বার্তা পৌঁছে দেয়া যায়। যে বার্তা অন্য মাধ্যমে দেয়া যায়না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ এক মহৎ আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, এখানে যে শুধু নাট্যকলার শিক্ষার্থীরা রয়েছে তা নয়, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারে। থিয়েটারের সুফল সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে যাবে।

আখতারুজ্জামান নাট্য সংসদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন এমন নাটক প্রদর্শন করেন, যা পরিবেশ সংরক্ষণ, জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ, গুজব ইত্যাদিকে প্রতিহত করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংসদের সভাপতি মো. সানোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল জয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদ কবির সুমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং নাট্য সংসদের প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন সুমন।

রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, আমরা যে সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার লালন করি তা নাটকের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং তা মনে গেঁথে যায়। নাটকের মাধ্যমে এদেশের জাতীয়তাবাদ যেন তুলে ধরা হয়। এবং নাটকের মাধ্যমে যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটে। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নাটক মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। নাট্য সংসদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে
শোভন বলেন, আমরা যে বাঙালি এই স্বকীয়তাকে আপনারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সমাজের মধ্যে তুলে ধরবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংসদ তৃতীয়বারের মতো এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। এই নাট্যোৎসবে তিন সন্ধ্যায় তিনটি ভিন্ন ভিন্ন নাটক প্রদর্শিত হবে এবং তিনদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের প্রযোজনায় মনোজ মিত্র রচনায় এবং শুভ্রা গোস্বামী নির্দেশনায় নাটক ‘কাক চরিত্র’।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযোজনায়, সেলিম আল দীন রচিত এবং আহসান হাবিব নির্দেশিত নাটক ‘কীত্তনখোলা’ এবং শেষদিনে মঞ্চস্থ হবে ভারতের আনন্দিন থিয়েটারের প্রযোজনা মধুসূদন মুখোপাধ্যায় রচিত ও সঞ্জীব সরকার নির্দেশিত নাটক ‘টেলিস্কোপ’।


সর্বশেষ সংবাদ