মোর্শেদ হাসানের চাকরিচ্যুতি নিয়ে আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাস

ড. আসিফ নজরুল ও মোর্শেদ হাসান
ড. আসিফ নজরুল ও মোর্শেদ হাসান  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। তিনি অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নির্মাতা এবং প্রধানতম নেতা। কিন্তু তারপরও তার কোন ভূমিকা নিয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে সেই অধিকার তার রয়েছে বলে আমি মনে করি। তাকে নিয়ে এমনকি অহেতুক সমালোচনা করা হলেও তিনি তাতে ছোট হয়ে যান না। আমেরিকায় জর্জ ওয়াশিংটন ও ভারতে মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষকে নিয়েও ভিন্নমত আছে, আছে অহেতুক সমালোচনাও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান তার একটি লেখায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে যা লিখেছেন আমি তার সাথে একমত না। আমার ধারণা তিনি সংকীর্ণ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখাটি লিখেছিলেন। কিন্তু এ ধরনের সংকীর্ণ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের অন্য দলের বা অন্য মতের কিছু শিক্ষকের মধ্যেও আছে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।

কিন্তু এটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরীচ্যুতির শাস্তি পাওয়ার মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত না বলে আমি মনে করি।

লেখাটির জন্য জনাব খানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়ার সংবাদ তাই আমাকে বিস্মিত ও ব্যথিত করেছে। যৌন হয়রানী, চৌযবৃত্তির মতো জঘন্য অপরাধেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লঘুতর শাস্তি দেয়ার ঘটনা আছে। সেখানে মতামত পেশ করা জনিত কারণে একজন অধ্যাপকের চাকরীচ্যুতি কীভাবে যৌক্তিক হতে পারে? তিনি নিজে লেখাটি প্রত্যাহার এবং এজন্য দুঃখপ্রকাশ করার পর এমন শাস্তি অত্যন্ত অসংগত বলে আমি মনে করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্বশাসন প্রদান করেছিল বঙ্গবন্ধুর সরকারের আইন। সেই স্বায়ত্বশাসন তারা ব্যবহার করলো নিজেদের একজন অধ্যাপকের মতামত পেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, তাকে চাকরীচ্যুত করে! খুব খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো এতে।


সর্বশেষ সংবাদ