রবি কোম্পানি অসময়ের বন্ধু হতে পারে না, অসময়ে শোষক কেন হয়!

আব্দুল ওয়াহেদ মিনহাজ
আব্দুল ওয়াহেদ মিনহাজ   © ফাইল ফটো

সাধারণত চট্টগ্রাম বিভাগে রবি কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যাধিক্য, গ্রামের প্রত্যেকটি অঞ্চলেও রবি গ্রাহকদের সংখ্যা অনেক বেশি। এই সুযোগে রবি কোম্পানি গ্রামের অসচ্ছল এবং অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষদের সাথে তাদের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে যেমন ইচ্ছে তেমন করে, বাদ পড়েনি ছাত্রছাত্রীও। আমার গ্রাম কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ছেপটখালী গ্রামে, আমাদের গ্রামে রবি ব্যতীত অন্য সিমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়না। বাধ্য হয়ে রবি সিম ব্যবহার করতে হয়।

আজকে প্রায়ই ৪ মাস ধরে সবাই গৃহবন্দি, আমরা ছাত্রছাত্রীরা বলতে গেলে একদম বাজে সময় পার করছি। বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবেলায় আজ আমরা নিঃস্ব, পুরো দেশ এমনকি পৃথিবী তার স্বাভাবিক গতি হারাতে বসেছে। এই দুর্দিনেও যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে ব্যবসা করে যাচ্ছে রবি কোম্পানিসহ টেলিকম কোম্পানি গুলো, তারা এই মহা দুর্দিনে এসে গ্রাহকদের সুবিধা না দিয়ে বরং যুগ যুগ ধরে করে আসা ডিজিটাল ডাকাতি অব্যাহত রেখেছে।

এই অসময়ে তারা মানুষের বন্ধু হতে পারেনি বরং গ্রাহকদের শোষণ করে যাচ্ছে। তাদের ডিজিটাল ডাকাতির উদাহরণ দেখুন, আজকে রবি অ্যাপসে ৪৮৯ টাকায় ৪০ জিবি দেখে বিকাশ থেকে রিচার্জ করলাম। আমাকে ৪০ জিবির প্যাকটি না দিয়ে অন্য একটি প্যাক দিয়ে দিলো, যেটি ছিলো ৩ জিবি+২০০মিনিট +২০০ এসএমএস। সাথে সাথে অফিসে ফোন দিলাম, বুঝিয়ে বললাম। বললো, প্যাকটির কিছু ব্যবহার না করতে। প্যাকটি উঠিয়ে নিয়ে টাকা ব্যাক দিবে বললো, ২৪ ঘণ্টা সময় নিলো (নিঃসন্দেহে ডাকাতি করার প্রথম পদক্ষেপ, যাতে এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহক উক্ত প্যাক থেকে কিছুটা হলেও ব্যবহার করে)। আমি ফোনের ডাটা চালু করতেই সদ্য দেয়া প্যাক থেকে কিছু এমবি কেটে নিলো, অথচ আমার সিমে পূর্ব থেকে আরেকটি প্যাক ছিলো যার মেয়াদ এবং এমবি দুটোই অবশিষ্ট ছিলো কিন্তু এই পূর্ববর্তী প্যাক থেকে না কেটে সদ্য দেয়া প্যাক থেকে কেটে নিলো।

অথচ তারা জানে পূর্ববর্তী প্যাকটির মেয়াদ আগে শেষ হবে, তবু ডাকাতির খাতিরে তারা পূর্ববর্তী প্যাক থেকে কাটলো না। পরবর্তীতে আবার অফিসে কল করা হলে বললো, আপনি প্যাকটি থেকে কিছু এমবি ব্যবহার করে ফেলেছেন যার কারণে আপনাকে আর প্যাকটি উঠিয়ে নিয়ে টাকা ব্যাক দেয়া হবেনা ( নিঃসন্দেহে ডাকাতিতে সফল হয়েছে)। এটি ছিলো আজকে আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটি ডিজিটাল ডাকাতি, আমার মতো হাজারো ভিক্টিম আছে এদের ডাকাতির শিকার হয়েছে। ইউনিভার্সিটিতে অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় এমবি গুলো খুবই দরকার ছিলো, এই দুর্দিনে আর্থিকভাবে অনেক কষ্টই পাচ্ছি।

অথচ এই টেলিকম কোম্পানি গুলো চাইলে এই দুর্দিনে কয়েক মাস ব্যবসাকে উদ্দেশ্য না করে মানুষের সেবাকে উদ্দেশ্য করতে পারতো, সেবা করতে না পারে অন্তত গ্রাহকদের সুবিধা বঞ্চিত করা উচিত নয়।

 

লেখা: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত


সর্বশেষ সংবাদ