সেন্টমার্টিনে ‘ভিআইপি’ বিড়ম্বনা

সহস্রাধিক যাত্রীকে আবদ্ধ অবস্থায় ঘাটেই অপেক্ষা
সহস্রাধিক যাত্রীকে আবদ্ধ অবস্থায় ঘাটেই অপেক্ষা  © টিডিসি ফটো

টেকনাফ থেকে জাহাজগুলো মাত্রই সেন্টমার্টিন সমুদ্র ঘাটে ভিড়েছে। সহস্রাধিক যাত্রী তখন জাহাজ থেকে নামার জন্য উদগ্রীব। প্রখর রোদ! ঠেলাঠেলি! হৈ-চৈ আছে! এর মধ্যেই যাত্রীসাধারণ ভীড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাউকেই ঘাট পার হতে দেয়া হচ্ছেনা। শোনা গেল, ভিআইপি আসতেছে।

তিনি ঘাট পার হওয়া না পর্যন্ত সহস্রাধিক যাত্রীকে আবদ্ধ অবস্থায় ঘাটেই অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষার প্রহর বাড়ছে। এরই মধ্যে গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ বলছে, ঘাটের গেটে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে, কেউ বলছে, রোহিঙ্গা কি'না পরখ করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বঙ্গবন্ধু ‘কারাগারের রোজনামচায়’ লিখেছেন, সত্য ঘটনা প্রকাশ না হলে, গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এখানেও তেমনটিই ঘটেছে। কারণ সাধারণ যাত্রীদের জানানো হচ্ছেনা যে, ভিআইপি আসবে বলে তাদের পথরোধ করা হয়েছে। তাই নানা গুজব ছড়াচ্ছে।

প্রখর রোদ! ঠেলাঠেলি! হৈ-চৈ আছে! অবশেষে ভিআইপির বোট ঘাটে এসে ভীড়লো। তিনি দেখলেন সহস্রাধিক যাত্রী ‘সাধারণ’ হওয়ার অপরাধে ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তিনি সাধারণ যাত্রীদের ‘সামান্য’ দুর্ভোগটা বুঝতে পারলেন। হাত দিয়ে গেটে ইশারা করলেন যাতে যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হয়। তার হাতের ইশারায় পরিশেষে আমরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।

নৌবাহিনীর একজন কনস্টেবল বললেন, ভিআইপি একজন ‘ফ্ল্যাগ অফিসার’। আর কোন তথ্য দিলেন না। ছবি তোলা ছাড়া ভিআইপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলোনা।

লেখক: শিক্ষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ