ছেলে-মেয়েরা খোঁজ নেন না, তিনিই পুলিশ সুপারের বিশেষ অতিথি

পুলিশ সুপারের সাথে বিশেষ অতিথি
পুলিশ সুপারের সাথে বিশেষ অতিথি  © সংগৃহীত

শুক্রবার হলেও দিনটি শুরু করেছিলাম পিএসআই দের লিখিত পরীক্ষা দিয়ে, পুলিশ লাইনে নামাজ শেষ করে বাসায় এসে যখন লান্চের জন্য নীচে নামলাম তখন বডিগার্ড মনসুর বললো স্যার আপনি কাউকে বাসায় আসতে বলেছিলেন, বললাম, নাতো; গেটের বাইরে গিয়ে দেখেই বৃদ্ধাকে চিনতে পারলাম, দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে দুইটা টোপলা।

মাসখানেক আগে আমার অফিসে এসেছিলেন, যখন আমার কাছে আসেন ভেবেছিলাম জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা, জানালেন তিনি কিছু চাইতে আসেননি, শুধু আমাকে দেখতে এসেছেন, স্বামী নেই , অন্যের বাড়িতে থাকেন, মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন, ছেলেও বিয়ে করে আলাদা, খোজখবরও নেয়না। বাবা বাবা বলে জাকছিলেন তখনই বলেছিলেন আমার বাসায় আসবেন, বলেছিলাম আসবেন, সমস্যা নেই।

আজকে দেখে এতটু অবাকই হলাম, তিনি যে সত্যিই আমাকে দেখতে আসবেন ভাবিনি। সদর থেকে বেশ খানিকটা দূরে, উলিপুরের ধরনীবাড়ী থেকে ভ্যান আর অটো করে আমার অফিসে এসে, বাসা খুজে পেয়েছেন।ভেতরে এনে বসালাম। রাতে থাকা ছোট বাজারের ব্যাগ খুললেন, ভেতরে দুইটা মুরগী , স্থানীয় ভাষায় চড়ুই, একটা পলিথিনের ব্যাগে ১০ টা ডিম,এক লিটার দুধ।আমার জন্যই এনেছেন।বসালাম, লান্চ করালাম, জিণেস করলাম কি জন্য এসেছেন, একই উত্তর , শুধুমাত্র দেখতে, ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বললাম সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় কোন ঘর দেয়া যায় কিনা, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।বাসার গার্ডকে বললাম গাড়িতে উঠিয়ে দিতে।

পুলিশে যোগদানের আমার প্রথম কারন ইউনিফর্মের প্রতি আকর্ষন, দ্বিতীয় কারন এই সব সাধারন মানুষের ভালবাসা পাওয়া।আলহামদুলিল্লাহ।

লেখা: ফেসবুক থেকে সংগৃহিত


সর্বশেষ সংবাদ