পূজার দিন ভোট গভীর ষড়যন্ত্রের আভাষ!

ফারুক হাসান
ফারুক হাসান  © ফাইল ফটো

এটা কী আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য নাকি কোনো হাসপাতালের ব্যস্ত কোন ওয়ার্ড? গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৩০ তারিখ সিটি নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। কারণ ৩০ তারিখ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা।

ধর্মীয় উপাস্যের দিন পূজা উৎসব হবে, আর ভোটের দিন হবে ভোট এটাই ছিল বাংলাদেশের রেওয়াজ। কিন্তু কি এমন কারণে নির্বাচন কমিশন এবার পূজোর দিন সিটি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করলেন তা কিন্তু আমাদের কাছে ঘোলাটে জলের মতো অজানা রয়ে গেলো। মৃতপ্রায় ভোটের মাঠে জনগণের মাঝে ভোট নামক শব্দটিকে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য করে তুলবার জন্যই কি পূজোর দিন তাহলে ভোট...?

আবার সরকার, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন এখন মিলে একাকার, সরকার বললেই নির্বাচন কমিশন মিনিটের মধ্যেই ভোটের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে। তাহলে কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে বসতে হয়েছে? অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে ইসি স্বায়ত্তশাসিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এখানে সরকারের কি করণীয়, হ্যাঁ আপনার কথা ঠিক তবে সেটা খাতাকলমে লিপিবদ্ধ।

যে যেকোনে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং নির্বাচন রিলেটেড প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করে থাকে। তাহলে ঢাকা সিটি ইলেকশনের আগেও একই কাজ করা হয়েছিল এবং ইসি জেনেশুনে পরিকল্পিতভাবেই পূজার দিনে ভোট রেখেছে। এর ভিতরে যে এক গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তা কিন্তু আজকে পানির মতো পরিষ্কার।

লেখক: যুগ্ম আহবায়ক বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ