যারা বলছেন ধর্ষণকারী না, তাদের জন্য সমবেদনা ও রামছাগল উপাধি

মজনু ও আশরাফুল আলম খোকন
মজনু ও আশরাফুল আলম খোকন  © সংগৃহীত

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মজনু মিয়া। ৩০ বছর বয়সী এ যুবক একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে উল্লেখ করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে বলেও স্বীকার করেছে মজনু।

বুধবার র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য জানান। র‌্যাব আরও জানায়, মজনু মিয়া মাদকাসক্ত। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। তিনি ছিনতাইও করতেন। মূলত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে র‌্যাব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিতকরণের চেষ্টাকারীদের নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। ‘আসলে এরা ধর্ষকের পক্ষই নিয়েছে...’ শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ও অন্যান্য সামগ্রীর সূত্র ধরে ধর্ষক মজনুকে আটক করা হয়েছে। মজনু মুঠোফোনটি অরুণা নামের একটি মেয়ের কাছে বিক্রি করেন। অরুণা আবার বিক্রি করেন খায়রুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে। গতকাল অরুণা ও খায়রুলকে গ্রেপ্তারের পর ৱ্যাব নিশ্চিত হয়—আসল অপরাধী মজনু।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটাও নিশ্চিত করেছে যে, ধর্ষিতা বোনটি নিজেও ধর্ষককে চিহ্নিত করেছে। এরপর কিছু সুশীলমনা লোকজন বলছে এটা সাজানো নাটক। আসল ধর্ষক না। সরকারের আইওয়াশ। সরকার আরেকটি জর্জ মিয়া নাটক সাজিয়েছে। যারা রাতদিন পরিশ্রম করে ধর্ষককে ধরলো, যিনি ধর্ষিত তিনি চিহ্নিত করলেন- এরপর আপনি ঘরে বসে কি করে বলেন যে, এই লোক ধর্ষণকারী না। আপনাদের জন্য সমবেদনা আর রামছাগল উপাধি দেয়া ছাড়া উপায় নাই।

এই বিশেষশ্রেণীভুক্ত মানুষগুলো তাদের মেধা ব্যবহার করে ধরেই নিয়েছে “ অবশ্যই ধর্ষককে হতে হবে আহমদ শরীফ, রাজীব, মিজু আহমেদ কিংবা মিশা সওদাগরের মতো তাগড়া টাইপ।