২-৩টা ক্লাস করতে বিরক্ত হতাম, এটা ভেবেই এখন হাসি পায়

সাদমান সাদিক
সাদমান সাদিক  © ফেসবুক

স্টুডেন্ট লাইফে খুব বেশি হলে আপনি ফেল করে সময় এবং টিউশন ফি হারাবেন। আসল লাইফে কাজ খারাপ করলে আপনার চাকরি যেতে পারে, ব্যবসায় লস হতে পারে, আপনার রেপুটেশন ডাউন হতে পারে আরও কত কি!

স্টুডেন্ট লাইফে দিনে ৪/৫ ঘণ্টা ক্লাস। ক্লাসে আপনাকে শেখানো হচ্ছে। আর আসল লাইফে দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা কাজ। আর আপনাকে শেখাতে কেউ বসে নেই। নিজে থেকে সব শিখতে হবে।

১২/১৫ বছরের শিক্ষা জীবনে আমরা খালি পড়ে স্টেজে গেলেই হবে। পরের স্টেজটা কি, সেটা আমরা সবাই জানি, টিচার আছেন বলার জন্য, গাইড বই আছে পড়ার জন্য। কিন্তু আসল লাইফে কি করবো, সেটার তো কোন কোচিং সেন্টারও নাই, গাইড বইও নাই। ১২/১৫ বছর ধরে সবার কথামত চলে হঠাৎ করে এখন নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে!

স্টুডেন্ট লাইফে অনেক আরাম। অনেক ছুটি থাকে। সেমিস্টারের মাঝে মাঝে ১/২ মাস ছুটি। আসল লাইফে সবাইকে সরকারি ছুটির দিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।

স্টুডেন্ট লাইফে আপনার আশপাশের মানুষজন আপনার বন্ধু। আসল লাইফে আপনার আশেপাশের মানুষজন আপনার কলিগ এবং একই প্রমোশনের জন্য কাজ করছে।

স্টুডেন্ট লাইফে ইচ্ছামত ঘোরাঘুরি আর আড্ডা চলে। আসল লাইফে শুক্র-শনিবার আর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া দেখা করার সুযোগই নেই!

এমন না যে গ্র্যাজুয়েশনের পর লাইফ একদম কঠিন। যারা তাদের কাজে মজা পায়, তাদের জন্য খুব ভালো। আমি কেবল শেয়ার করলাম সেই কথাগুলো, যেগুলো স্টুডেন্ট লাইফে জানা থাকলে আমি প্রতিটা মুহূর্ত আরও বেশি উপভোগ করতাম।


সর্বশেষ সংবাদ