শিক্ষার মান ও শিক্ষকের দায়

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী
ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী  © ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থাৎ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন উপায়ে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকের মান-মর্যাদা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট রয়েছেন। শিক্ষক পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে চক্ষু চড়ক গাছ- সদ্যসমাপ্ত হওয়া প্রাইমারী স্কুলের খাতা কাটছে সতীর্থ শিক্ষকের প্রাইমারী স্কুলের সহকর্মীর ছেলে, যে কিনা মোটে প্রাইমারী পরীক্ষা দিয়েছে এবং দুধের শিশু। কি বিচিত্র দেশ সেলুকাস! এ ধরনের অপতৎপরতা ইউএনও এবং পুলিশের অভিযোগে ২৫০টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু যা সংবাদে আসে তার চেয়েও বেশিগুণে হয়ে থাকে। মনে পড়ে গেল, আমি যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পাবলিক ফাইন্যান্স টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় কম নম্বর পেলাম। স্যার যখন বললেন যে, যারা রিভিউ করতে চায়, তারা জমা দাও। আমিও দিতে গেলাম। কারণ জানতে চাইলে বললাম, আপনি খাতা ঠিকমতো দেখেননি। স্যার, অন্যদেরটা জমা নিলেও আমারটা নিলেন না। বাসায় এসে বাবাকে জানালাম। যেহেতু আমার বাবা-মা-খালু-ফুফু-ফুফা সবাই শিক্ষক ছিলেন, তারা সব সময় বেয়াদবি করতে মানা করতেন, কিন্তু সত্য বলতে শিখিয়েছেন। দেখলাম, বাবার মনটা খারাপ, কিন্তু কিছু বললেন না। কয়েকদিন পর ওই শিক্ষকই রিভিউ ক্লাসে খাতা ফেরত দিচ্ছিলেন- বললেন, তোমরা কেউ বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য লেখনি। আমি উঠে দাঁড়ালাম এবং বললাম, চারটি বৈশিষ্ট্য লিখে উত্তর শুরু করেছি। অবিশ্বাসের হাসি দিয়ে বললেন, কি লিখেছ? আমি প্রথমেই শুরু করলাম বাংলাদেশ শ্রম উদ্বৃত্ত দেশ দিয়ে। তার মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। তার যে এমফিল স্টুডেন্ট দিলরুবা আপা খাতা কেটেছিল, তাকে আর খাতা কাটতে দেননি। কিন্তু আমি আর তার ওই কোর্সের ক্লাসে যাইনি, বেয়াদবিও করিনি। শিক্ষক যখন মিথ্যা কথা অবলীলায় বলেন, তার ছাত্রছাত্রীকে প্রয়োগ করে দল ভারি করেন তখন লজ্জা ও ঘৃণা লাগে। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে ধন্যবাদ জানাতে হয়, একজন নারী আসনের এমপি যখন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, তখন ধরা পড়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে বলে। তবে যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা আগের পরীক্ষাগুলোতে সহায়তা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা ডিজি অফিস কিংবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। শিক্ষকের মান-মর্যাদা শিক্ষককেই রাখতে হবে। সামান্য লোভের আশায়, নিজেকে বড় করে দেখার মানসে যখন ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ছাত্রশিবিরের ন্যায় ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের জোর জবরদস্তি করে গায়ের জোরে কোন প্রোগ্রামে ভর্তি করায়, সেটিও নিতান্তই অগ্রহণযোগ্য কর্মকান্ড। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষক রাজনীতির কারণে মিথ্যা বলেন অবলীলায় এবং শিক্ষক ইভ্যালুয়েশনের মতো কর্মকান্ডে নিযুক্ত এজেন্ট দ্বারা মিথ্যা লেখায়। ছাত্রছাত্রী কর্তৃক শিক্ষক ইভ্যালুয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা নিজেদের সৎ বলি, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অসততায় ভরে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিঙ্গেল এক্সামিনার সিস্টেম রয়েছে। আমাদের দেশেও কোন কোন ক্ষেত্রে সিঙ্গেল এক্সামিনার সিস্টেম আছে, এটি ভাল। কিন্তু সমস্যা হয় যখন উচ্চপদস্থ কারও কাছে হয়ত ম্যাথমেটিক্সে ঢাকা কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণী পেয়েছে, অথচ এখন চারে চার অন্যায়ভাবে আদায় করতে না পেরে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিদেশে কিন্তু এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ালে হয় না। পরীক্ষার পরও তা দেখার ব্যবস্থা আছে। আমরা তো ডাবল এক্সামিনার সিস্টেমে পড়ে এসেছি। নয় থেকে এগারো মাস প্রতি সেমিস্টারে সময় লেগেছে। একটি দরিদ্র দেশে সময় নষ্ট খুবই দুঃখজনক ও রাজস্ব প্রদানকারীদের টাকার অপচয়।

আবার মডারেশনের সময় একজন রাজাকার শিক্ষক ছিলেন, যিনি প্রতি সেমিস্টারে দশটার মধ্যে চারটা ইন্টার্নাল এবং ছয়টি এক্সটার্নাল রাখতেন। সেই রাজাকার শিক্ষক পরে মালয়েশিয়ায় চলে গেলেন। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের প্রথম সেমিস্টার থেকে তৃতীয় সেমিস্টারে বসিয়ে দিয়ে গেলেন। এ ধরনের শিক্ষকের আসলে জামিন অযোগ্য বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। আসলে শিক্ষকের মেরুদন্ড হবে শক্ত, সত্য এবং ন্যায়ের প্রতীক। যারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মিথ্যার পথে পরিচালিত করেন, ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করেন, অন্যায়ের পথে কিংবা বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করেন, তারা আর যাই হোক অমানবিক ও অমনুষ্যত্বের পথে ধাবিত করেন। এমনকি প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা সিনিয়র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অপমান করেও বেঁচে যান। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্য। আর দশটি সাধারণ চাকরির মতোই শিক্ষক-শিক্ষিকারা অন্যায় কর্ম কিংবা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিলেও, দলগত কারণে কিংবা আঞ্চলিক কারণে বেঁচে যান। আমাদের দেশের একটি বড় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন কলা বিভাগের ডিন তার কোচিং ক্লাসের ক্লাস ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়েও পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বেঁচে গেছেন। আবার ওই ভদ্রলোকই এলপিআরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দলের সদস্য হলেও মাত্র দু’জনকে ইংরেজীতে পাস করিয়ে জবাবদিহির উর্ধে ছিলেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী এলপিআরে থেকে তার কিন্তু পরীক্ষা কনডাক্ট করার কথা নয়। এটি আঞ্চলিক সমঝোতা, দলীয় নয়।

মনে পড়ে জিয়া শাহীর আমলের একটি ছোট্ট ঘটনার কথা। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষকদের ডেকে তৎকালীন বিডিআরের প্রধান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার বাবা মোবাশ্বের আলী স্বভাবজাতভাবে প্রতিবাদ করলেও অন্য কোন সহকর্মী কিংবা অধ্যক্ষ কোন কথা বলেননি। ওইদিন দেখলাম, বাবার মন খুব খারাপ। বললেন, এভাবে শিক্ষকদের অমর্যাদা আগে কখনও দেখিনি। আজ মনে হয় জিয়া শাহীর এই যে চাল এবং তার অর্ডার পালনকারী ব্যক্তির জন্যই জিয়ার দুই ছেলেই শিক্ষার বেহাল দশা। সেদিন আমার আব্বাকে পানি পর্যন্ত স্পর্শ করতে দেখিনি। অথচ আজ প্রত্যক্ষ করছি, বহুধা বিভক্তি এবং স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রগতিশীল শিক্ষকরা হেন কাজ নেই যে করতে পারেন না। আরেকটি জিনিস প্রত্যক্ষ করেছি, যাদের কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া, তারা এমন আমলাতন্ত্র সৃষ্টি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে আছেন যে, দেশের শিক্ষকরা দলীয়ভাবে শক্তিশালী না হলে তাদের কাছ থেকে ন্যায্য কাজও আদায় করা যায় না। যে কোন মূল্যে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানকারী অফিসগুলোকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতামুক্ত অথচ সত্য, ন্যায়সঙ্গতভাবে কাজ করতে হবে। নইলে ছাত্রছাত্রীরা পাস করে গেলেও বারংবার তাদের সার্টিফিকেট, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্টের কারণে ঘুরতে হবে। এমনকি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কিভাবে অংশ নেবে, তার জন্য সদ্য পাসকৃত চাকরি প্রার্থী যুবক-যুবতীকে জুতার সুকতলা পর্যন্ত ক্ষয় করতে হয়। কেননা ডিজিটালাইজেশন করলেও ফরম অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো কাজ করে না। সার্ভারের দায়িত্বে যিনি থাকেন, নেটওয়ার্কিংয়ের দায়িত্বে যিনি থাকেন, তার অনেক দায়, অথচ কেউই জবাবদিহির আওতায় নন। এমনকি হলগুলোর প্রশাসনকেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। নচেৎ কেবল বাড়ি পাওয়ার আশায় কারোর হল প্রভোস্ট হওয়ার দরকার নেই। শিক্ষায় উদ্যোক্তা অর্থনীতির প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া দরকার।

শিক্ষকদের এক সময় মানুষ গড়ার কারিগর বলা হতো। কিন্তু শিক্ষকদের একটি অংশ এমন পচে গেছে যে, মিথ্যার ওপর বেসাতি করেই চলে। তাদের এই চলার পথ সুগম হয়, তাদের দ্বারা ব্যবহারকৃত ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা। শুধু ক্ষমতার লোভে যখন কামড়াকামড়ি করে, তখন সেটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। অনায়াসে মিথ্যা কথা ও অভিযোগ দিতে কসুর করে না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ফরম পূরণ ও টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। নচেৎ সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস ছাত্রছাত্রীকে বারবার হয়ত কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে হয় থাকা, খাওয়া, যাতায়াত খরচ, সঙ্গে আরেকজন- মোটা অঙ্কের প্রায় ১৫-১৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। যেখানে সরকার ডিজিটালাইজেশন প্রসেস চালুর প্রয়াস গ্রহণ করেছে সর্বত্র, সেখানে এভাবে অর্থের অপচয় মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবশ্যই অনলাইনে ফরম পূরণ ও টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা দরকার। অনলাইনে ফরম পূরণ ও টাকা পরিশোধ করলে ই-প্রসপেক্টাস ডাউনলোডের এক্সেস দেয়া দরকার, যাতে ঘরে বসেই ওই বিষয়ের প্রসপেক্টাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে, প্রয়োজনে প্রিন্ট এক্সেস পাবে। একটি অশুভ প্রতিযোগিতা দেশে শুরু হয়েছে, যারা তৃতীয় শ্রেণীর সমতুল্য নম্বর এসএসসি ও এইচএসসিতে পায়নি, তাদের বাদ দিয়ে বাদ-বাকিদের উচিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া। ক’দিন আগে দেখা গেল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম পূরণ করার পরও তাদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। আরেকটি সতর্ক বার্তা দিতে চাই, ঠগবাজের মধ্যে তথাকথিত বড় বোন আর বড় ভাইয়েরা অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রাান্তির সৃষ্টি করে থাকে। কোমলমতি ভর্তিচ্ছু যাতে ওদের প্রভাববলয়মুক্ত থাকে, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কেননা আমাদের সময় দেখেছি কি আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ভর্তিচ্ছুদের শিবিরে রূপান্তরের। এখন অবশ্য কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের বিভিন্ন অসৎ কাজে যেমন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিপক্ষে বলতে বলে। লেলিয়ে দেয়। ট্রান্সপারেন্সি, এ্যাকাউন্টেবিলিটি এবং ফেয়ারনেস থাকা দরকার, নচেৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা চলে না। কেননা আজকের যে শিক্ষার্থী, সে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের উন্নতিকল্পে কাজ করবে।

জীবনের যে বহমানতা, সেটি বজায় রাখতে গেলে ক্লাস ফাইভে অবশ্যই সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতি বন্ধ করা দরকার। আমাদের দেশে এমন অনেকেই এখন প্রাইমারী বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা হচ্ছে, যারা কেবল সময়ক্ষেপণের জন্য হচ্ছে অর্থ ও তদবিরের জোরে। আদর্শবান শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে আন্তরিকতা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মোটেও পড়াচ্ছে না। প্রাইমারী স্কুলে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হলেই চলবে না, পাস করলেই হবে না, পড়ার মান বাড়াতে হবে। এজন্য কেবল স্বল্পকালীন পিটিআই ট্রেনিং না দিয়ে অন জব ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান মডেল অনুসরণ করতে পারলে। নইলে নিদেনপক্ষে শ্রীলঙ্কান মডেল অনুসরণ করা উচিত। ভাল বীজ রোপণ করতে পারলেই কেবল ভাল গাছ পাওয়া যায়। দুর্ভাগ্য যে, যারা সাময়িক সময়ক্ষেপণের জন্য প্রাইমারীর শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন, তারা কোনভাবেই দেশের মঙ্গল করতে পারেন না। এদের মধ্যে যারা শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে ভাল কাজ করবেন, তাদের রাখা উচিত। কলেজ অধ্যাপনাও যত্নের সঙ্গে করা উচিত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দেয়া দরকার। আন্তর্জাতিকীকরণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষকদের স্টুডেন্ট সেন্ট্রিক হতে হবে। ক্লাস হবে তাত্ত্বিকের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত। গণিতের ক্লাসে কেবল গণিত করালেই হবে না, একটি ফার্ম কিভাবে ব্যবসা করে তার পদ্ধতিও দেখানো দরকার।

লেখক : ম্যাক্রোঁ ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট এবং অধ্যাপক


সর্বশেষ সংবাদ