এভাবে কেন ইমির চরিত্র নিয়ে বাজেভাবে পোস্ট করা হচ্ছে?

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও ইমি
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও ইমি  © ফাইল ফটো

"গভীর রাতে হলে ঢোকেন শামসুন্নাহার হলের ভিপি ইমি; আছে নানা অভিযোগ।" এমন একটা হেডলাইন দিয়ে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা একটা পোর্টাল থেকে নিউজ করে " ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার" নামক ফেসবুক গ্রুপ ও নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার দিচ্ছেন এবং নিজেদের পোস্টে নিজেরাই কমেন্ট করছেন।

একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে, কিন্তু সেই অভিযোগ যখন চরিত্র হননের পর্যায়ে চলে যায়, তা ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়। রুমমেটদের সাথে কথা কাটাকাটি, ঝগড়া এগুলো হয় না কার? ইমিকে নিয়ে তাদের হলের গ্রুপে একজন মেয়ে সেই পার্সোনাল ঝগড়া, মনোমালিন্য ইত্যাদি নিয়ে পোস্ট করেছে, সেখানে তো মেয়েটি ইমির চরিত্র নিয়ে কথা বলেনি। কিন্তু এভাবে কেন ইমির চরিত্র নিয়ে বাজেভাবে পোস্ট করা হচ্ছে? এই কি একজন মেয়ের প্রতি ছাত্রলীগের ভাইদের সম্মান? তারা মেয়েদের সম্মানের কথা বলে, কিন্তু এই হলো তাদের সম্মান?

নিউজে লেখা হয়েছে, "তাকে প্রায় প্রতিদিনই হলের বাইরে রাত কাটাতে দেখা যায়!" এখানে কথা হচ্ছে, ছাত্রলীগের ভাইয়েরা কি কোন প্রুফ দিতে পারবে যে, ইমি হলের বাইরে প্রতিদিন রাত কাটাচ্ছে? ছিঃ একজন মেয়ে সম্পর্কে এই নোংরা কথাটা বলতেও তো লজ্জা লাগার কথা। আর তাও এগুলো বলছে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা।

আরও বলা আছে, "রাতে তাকে ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সঙ্গে এক বা একাধিক ছেলেরা থাকে।" যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল দাবি করে, আবার তারাই এই কথা বলে! ইমির কি ছেলে বন্ধু বা ক্লাসমেট থাকতে পারবে না? নাকি এটাও অপরাধ? আর স্বাভাবিক ঘুরাঘুরির কথা তারা বলছে না, তারা এটাকে নেগেটিভলি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এখানেও ইমির চরিত্রে দাগ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে অপরাধ ও ঘৃণা মানসিকতার কাজ।

ইমি কেমন, সে রুমমেটদের সাথে ঝগড়া করে, নাকি করে না, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা মেয়েদের পার্সোনাল বিষয়। কিন্তু সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একজন মেয়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তাকে নিয়ে নোংরাভাবে পাবলিক পোস্ট করা ইত্যাদি কখনো ভাল মানসিকতা মানুষদের কাছ থেকে আশা করা যায় না।


সর্বশেষ সংবাদ