‘বৃষ্টিভেজা দিনে আইআইইউসি মেলে ধরে তার ভরা যৌবন’

আইআইইউসি ও লগো
আইআইইউসি ও লগো  © টিডিসি ফটো

এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘনঘোর বরিষায়
এমন মেঘস্বরে বাদল ঝরঝরে
তপনহীন ঘন তমসায়।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ক্যাম্পাস। ষড়ঋতুর নানা সময়ে চির যৌবন এ ক্যাম্পাস ধারণ করে তার নানান রূপে। প্রকৃতি যেন তার ভরা যৌবন মেলে ধরে এই বৃষ্টির দিনে। শিক্ষার্থীদের কাছে বর্ষাঋতু অন্য রকমের শোভা নিয়ে আবির্ভূত হয়। ইচ্ছে করে বৃষ্টির প্রতিটি ফোটার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে।

সবুজের সমারোহে পাহাড়ে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। আর বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে বহুগুণে, ক্যাম্পাস ধারণ করে এক অন্য রকম রূপে।

কথায় আছে যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয় তখনই নাকি সীতাকুণ্ডের পাহাড়ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যের এই ক্যাম্পাসকে আরো বেশি অপরূপ করতে বৃষ্টি অঝোর ধারায় ঝড়ে পড়ে। মনে হয় যেন পাহাড়ের গায়ে কোনো রূপকথার গল্পের অপরূপার চুলের রেশমি পরশ ছড়িয়ে পড়ছে।

বৃষ্টির দিনে মেয়েদের ক্যাম্পাসের অবস্থা থাকে অন্যরকম। ইকোনমিক্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী নিব বলেন, সারাদিনের কর্মব্যস্ত নগরীর কোলাহলে হয়তো ভালো করে দেখাও হয় না বৃষ্টির ছন্দপতন। সবাই ছুটছি আর ছুটছি।

সেই কর্মব্যস্ততার ভিড়েই হয়তো এক চিলতে অবসর মনে বাসা বাঁধে। ক্যাম্পাসের দৌড়াদৌড়িতে হুট করে নামলো বৃষ্টি। সাবমিট করতে হবে এসাইনমেন্ট কিন্তু তখনই যেন মনের অবসরের পোকাটা শক্ত করে চেপে বসলো। ভুলেই যায় শিক্ষার্থীরা তাদের কাঁধে ব্যাগ, হাতে ফাইল। বৃষ্টির সেই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে নিজেকে মেলে ধরায় তাদের প্রতিযোগিতা। দু’হাত প্রসারিত করে সবাই ছুটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের সামনে সূর্যসেন চত্বরে।

এসব বৃষ্টির দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫০ একরের প্রতিটি কণায় যেন ছড়িয়ে পড়ে বৃষ্টির আনন্দ।