দেশদ্রোহী প্রিয়ার কঠোর শাস্তি চাই

ড. ইমরান এইচ সরকার
ড. ইমরান এইচ সরকার  © সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭ লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা। একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদের অস্থিত্ব ঠিকে রাখার জন্য ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চান তিনি। এরপর থেকে দেশ এবং দেশের বাইরে প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। যাতে যোগ দিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ড. ইমরান এইচ সরকার।

তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দেশদ্রোহী প্রিয়া সাহার কঠোর শাস্তি চাই। কেন শাস্তি চাই, আসুন তা আগে জানি। প্রিয়া সাহার অভিযোগের সবচেয়ে আপত্তিকর অংশ কোনটি? ৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু নিখোঁজ বা হারিয়ে গেছে, তাইনা? কিন্তু কীভাবে? এই সংখ্যা কোথায় পেলেন তিনি? প্রিয়া সাহার যুক্তি -

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৩০ ভাগের বেশি ছিলো হিন্দু ধর্মাবলম্বী। যা ২০১৯ সালে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ ভাগ।

যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা হারিয়ে না যেতো তাহলে ২০১৯ সালেও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩০% হিন্দু থাকতো। তাহলে এখন বাংলাদেশে মোট হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা কতো হতো?

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭০ মিলিয়ন। কারো কারো মতে আরো বেশি। তাহলে ৩০ ভাগের হিসেবে ২০১৯ সালে মোট হিন্দু জনসংখ্যা থাকার কথা ছিল ১৭০০০০০০০*৩০% = ৫ কোটি ১০ লক্ষ জন।

কিন্তু বর্তমানে ৮ ভাগ হিন্দু জনসংখ্যার হিসেবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট হিন্দু জনসংখ্যা আছে ১৭০০০০০০০*৮% = ১ কোটি ৩৬ লক্ষ জন।

তাহলে ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ হতে ক্রমান্বয়ে বিলিন হয়ে যাওয়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৫১০০০০০০ - ১৩৬০০০০০ = ৩ কোটি ৭৪ লক্ষ বা ৩৭ মিলিয়ন এর একটু বেশি।

কী বিপদ! প্রিয়া সাহার ৩৭ মিলিয়নের হিসাব তো মিলে গেলো!! কিন্তু এই হিসাব কি গ্রহণযোগ্য?

আমার কথা হলো এই হিসাব গ্রহণযোগ্য হোক বা না হোক, আরেক দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে এই অভিযোগ দেবার সাহস কীভাবে পেল প্রিয়া সাহা?

খবরে দেখলাম ২ মার্চ ২০১৯ তারিখে প্রিয়া সাহার পিরোজপুরের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দেশের জনগণ যখন দিনরাত ফেসবুকে লড়াই করছে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রমাণের জন্য তখন যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশমন। তাদের বিচারে কালবিলম্ব কেন?

আশাকরছি দেশে ফিরলেই প্রিয়া সাহার কঠোর বিচার শুরু হবে। তবে প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত করার জন্য সে দেশে ফেরার আগেই সকল সাম্প্রদায়িক দেশদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করা হোক বাংলাদেশ শুধু ফেসবুকে নয় বাস্তবেও একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এবং বাংলাদেশের সকল জনগণ ফেসবুকের মতো বাস্তবেও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।

কী বলেন সবাই?

[ফেসুবক থেকে সংগৃহীত]


সর্বশেষ সংবাদ