শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে কালক্ষেপণ করছে এনটিআরসিএ

  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর দীর্ঘ দিন মামলা জনিত কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার পর আশার আলো দেখলেও হতাশায় ছাড়েনি অনেক শিক্ষকদের। এনটিআরসিএ’র ২য় নিয়োগ চক্রে গতবছর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলো মেধাক্রম অনুযায়ী যাচাই-বাছাই, প্রতিষ্ঠান নির্বাচন, পদ ও বিষয় উল্লেখ করে ২৪ জানুয়ারি-২০১৯ নিয়োগের জন্য সুপারিশপত্র অনলাইনের মাধ্যমে পাঠায়।

এনটিআরসিএ থেকে চূড়ান্ত নিয়োগযোগ্য সুপারিশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করেও এমপিওভুক্তি না হওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন অনেক শিক্ষক। সারাদেশে একসাথে নিয়োগ নিয়ে অনেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছে আর অনেকে চরম হতাশার ভুগছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের বিভিন্ন ভুলের কারণে ভুল ই-রিকুয়েজেশন, নন-এমপিও পদকে এমপিও পদ হিসেবে উল্লেখ করা, মহিলা কোটা এবং অন্যান্য সুপারিশকৃত পদে যোগদান করে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলেও নানা কারণে ফাইল রিজেক্ট হয়ে যায়। এদের বেশির ভাগ মহিলা কোটা সমস্যা রয়েছে।

এ নিয়ে ভুক্তভুগী শিক্ষকরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তে অভিযোগ করলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা অধিদপ্তর এবং কারিগরি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের তালিকা নিলেও সমস্যা সমাধানে কালক্ষেপণ করছে এনটিআরসিএ।

এদিকে জাতীয় ভাবে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা নিজ জেলা থেকে অন্য জেলায় যোগদানের পর দীর্ঘ দিন ক্লাস করে আসছে। অনেকে প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরণের সহযোগীতা না পেয়ে থাকা-খাওয়াসহ অত্যাধিক ব্যয়বহুল ও আর্থিক সংকটের ফলে এমপিওভুক্তি না হওয়ার আশংকায় ক্লাস করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হন এবং পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে যাচাই বাছাই না করে জাতীয় ভাবে সুপারিশ করায় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে জটিলতার দেখা দেয়। হ-য-ব-র-ল এ নিয়োগ ব্যবস্থায় এনটিআরসিএ’র উপর আস্থা হারাচ্ছে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা অধিদপ্তর এবং কারিগরি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের নেয়া তালিকা অনুযায়ী কালক্ষেপণ না করে মহিলা কোটাসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে দাবী জানাচ্ছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা ।

লেখক: শিক্ষক, পূর্ব পুটিয়াখালী দারুচ্ছালাম ফাযিল (ডিগ্রী) মাদরাসা
রাজাপুর, ঝালকাঠী।


সর্বশেষ সংবাদ