১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৬

মেডিক্যাল ভর্তি যুদ্ধের শেষ মুহূর্তের পরামর্শ

মেডিক্যাল ভর্তি যুদ্ধের শেষ মুহূর্তের পরামর্শ দিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আয়েশা ইসলাম পলি। জানাচ্ছেন— এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

মেডিকেল ভর্তি যুদ্ধ! আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে কিছু মেধাবীর। খুবই উত্তেজনাময় একখন্ড সময়, যার প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। যারা এখনো মনঃস্থির করনি যে শেষ সময়ে কি করবে, তাদের জন্য আমার কিছু সহায়ক কথাবার্তা। সুন্দর করে একটা রুটিন করে ফেলো আজই।

শুধুমাত্র পড়াশুনার নয়, ২৪ ঘন্টার সকল কাজকর্মের। কোন প্রকার ভারসাম্য হারালে চলবে না। ৩টা বিষয় মাথায় রেখে হাতেগোনা কয়েকটা দিন একটু আর্মিম্যানদের মত পার করতে হবে। রুটিনে থাকবে তোমার পড়াশুনার ধরাবাঁধা সময় (অবশ্যই তা সাব্জেক্ট স্পেসিফিক)। সাধারণ জ্ঞান আর ইংরেজী নতুন করে কিছু পড়ার দরকার নাই। আগে যা পড়েছো সেগুলোই একটু রিভাইস দিলেই হবে।

একটা প্রশ্ন না জেনে আন্দাজে দিলে ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি, তাই অনুমান করে না দাগানোই ভালো। এখন শেষ সময়ে যেটা সবচেয়ে কম মনে থাকে কিন্তু বেশি প্রশ্ন থাকে সেগুলো রিভাইস দেয়ার চেষ্টা করো।

দ্বিতীয়ত নিয়মিতভাবে তিনবেলা খাবার খেয়ে নেওয়া, তৃতীয়ত পরিমিত ঘুম তা অবশ্যই কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা। পরীক্ষার আগের দিন কোনপ্রকার স্ট্রেস নিবে না আর চেষ্টা করবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ার। আর ঘুমানোর আগে অবশ্যই একটা ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগে এডমিট কার্ড, কলম একটা নিয়ে রেডি রাখবে। পরীক্ষার দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করবে আর সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছাবে।

আর পরীক্ষার হলে ঢুকার আগে অযথা মাছি ভনভনের মতো পড়া রিভিশন দিতে গিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। পরীক্ষা চলাকালীন, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, বায়োলজিতে যে ৭৫ নম্বর রয়েছে তার অধিকাংশটাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তোমাদের নলেজের ভিতরে থাকবে, শুধু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে উত্তর দিতে হবে।

আর অবশ্যই তোমার উত্তর হবে সময়সংগত। কোন প্রশ্নের উত্তর না মনে পরলে তা নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। মনে রাখবে, ‘Time is money for any kinds of competative exam.’ আর বাকি ২৫ নম্বর ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও মুক্তিযদ্ধের ইতিহাসে। এই ২৫ নাম্বার যেহেতু আমাদের পাঠ্যপুস্তকের নির্দিষ্ট সিলেবাসের আওতাধীন নয়, তাই এই অংশটুকু উত্তর করবার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে সবাই। কারণ নেগেটিভ মার্কিংয়ের একটা ব্যাপার আছে তা মাথায় রাখতে হবে।

তাই ১০০ ভাগ উত্তর করার জন্য না যেনে উত্তর দাগানোর রিস্ক নিবে না। পরীক্ষার প্রথম ৪০/৪৫ মিনিটের মধ্যে সমগ্র প্রশ্নের শতাভাগ জানা সকল উত্তর দাগিয়ে ফেলার মানসিক প্রস্তুতি রাখবে। বাকিটা সময় যেসব উত্তর নিয়ে কনফিউজড ছিলে বা ইন্সটেন্টলি মনে আসেনি তার উত্তর করবে। আর হ্যাঁ, রোল নম্বর পূরণের দিকে খেয়াল রেখো সবাই। সবার জন্য শুভকামনা।