বিএসএমএমইউর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে না

  © সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ফল বাতিলের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, এই পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত এ নিয়োগ সম্পন্নের জন্য মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডা. কনক বড়ুয়া বলেন, মঙ্গলবার (১২ জুন) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে মৌখিক পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিলো।

এর আগে বিএসএমএমইউতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্যের কার্যালয় ‘ভাংচুরের’ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার রাতে বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর) বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। চাকরির নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে এ আন্দোলন চলছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নামে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

গত ৯ জুন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের লাঠিপেটা করা হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করলেও আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার তা স্থগিত করা হয়। ওইদিন দুপুরের দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতে বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করে। মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিন্ডিকেটের সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে

বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসক। গত ২০ মার্চ আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন, যার ফল প্রকাশ করা হয় ১২ মে। পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওইদিন থেকেই আন্দোলনে নামেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ