নানা আয়োজনে বিএসএমএমইউ দিবস উদযাপিত

বিএসএমএমইউ’র ২২তম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়
বিএসএমএমইউ’র ২২তম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয়  © টিডিসি ফটো

চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিনটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়।

আয়োজনের মধ্যে ছিল-বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়ানো, র‌্যালি, বৈজ্ঞানিক অধিবেশন, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকালে বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স-ব্রাদার, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীবৃন্দ। বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব¦বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর ভিসির নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি এ ব্লকের সামনে বটতলা থেকে শুরু হয়ে টিএসসির মোড় হয়ে পুনরায় বটতলা এসে সমাপ্ত হয়।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া উপস্থিত সকলকে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ পালনের আহ্বান জানান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব¦বিদ্যালয়কে সকল ক্ষেত্রে বিশ্বমানে উন্নীত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পরে শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসএমএমইউ’র প্রথম ভিসি অধ্যাপক ডা. এম এ কাদেরীকে উৎসর্গ করে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসমূহ ও স্বপ্ন’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একই স্থানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক এমপি, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। সভাপতিত্ব করেন ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এরপর বিকাল ৩টায় অডিটোরিয়াম এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকাটা জরুরি। কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকলে দুর্নাম হয়। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যাতে করে রোগীরা আর দেশের বাইরে না যায়, বরং বিদেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা নিতে আসতে উদ্ধুদ্ধ হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও কাজের মধ্য দিয়ে সবকিছু অর্জন করতে হয়। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ