শিক্ষিকার মারধরে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

  © সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিক্ষিকার মারধরে মো. ইয়ামিন (৮) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্র ইয়ামিনের বাড়িতে শোকের মাতম।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের খেজুরবাগ এলাকায় মদিনাতুল উলুম সিদ্দিকীয়া নুরজাহানীয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নিহত ইয়ামিন ওই মাদ্রাসার আলিয়া বিভাগের প্লেগ্রুপের ছাত্র।

নিহত ইয়ামিনের বাবা মো. আশরাফ ফকির। ইয়ামিন পরিবারের সঙ্গে মাদ্রাসার পাশের এক বাড়িতে থাকতো। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সুতারকান্দি বাজিতুর গ্রামে। নিহতের বাবা আশরাফ ফকির জানান, আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা করবো।

ইয়ামিনের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মাদ্রাসা চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টায় ইয়ামিনের সঙ্গে তার এক সহপাঠীর ঝগড়া হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষিকা তামান্না আক্তার ওই দুই ছাত্রকে চড়থাপ্পর দিয়ে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। পরে ইয়ামিন বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ইয়ামিন মারা যায়।

তবে মাদ্রাসাটির শিক্ষক ফজলে রাব্বির দাবি, ইয়ামিনের সঙ্গে তার সহপাঠী এক ছাত্রের ঝগড়ার সময় স্বাভাবিক নিয়মেই শিক্ষিকা তামান্না উভয় ছাত্রকে সামান্য চড়থাপ্পর দিয়ে মীমাংসা করে দেন। তবে এসময় ইয়ামিনকে অপর ছাত্র লাথি মারে ও তার গলা টিপে ধরে। এতে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইয়ামিন তাদের বাড়িতে পেটের ব্যাথায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মাসউদুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে ইয়ামিনের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মাসউদুর রহমানের ফোনে একাধিক কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (২ ৫ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে মাদ্রাসায় গেলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও অভিযুক্ত শিক্ষক তামান্নাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহজামান জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। বিস্তারিত জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ