এতিমখানায় শিকলে বেধে পড়ানো সেই শিক্ষক বহিষ্কার

মাদ্রাসা সুপার মো. আরিফুল্লাহর
মাদ্রাসা সুপার মো. আরিফুল্লাহর  © সংগৃহীত

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদের পায়ে শিকল বেধে শিক্ষাদানের অভিযোগে ভাইয়াসুতি কাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা সুপার মো. আরিফউল্লাহকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে মাদ্রাসা কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি বদরুজ্জামান ভুঁইয়া রতন মাষ্টার।

শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল দিয়ে বেধে শিক্ষাদানের খবরটি গত সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিকল মুক্ত হয় ওই তিন শিক্ষার্থী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন সরেজমিনে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে ১৩ বছর বয়সের তিন শিক্ষার্থী ইফাত, ইয়াসিন ও আজিজুলকে লোহার শিকল মুক্ত করেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এক জরুরি সভার মাধ্যমে মাদ্রাসা সুপার আরিফুল্লাহকে দুই মাসের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি বদরুজ্জামান ভুঁইয়া রতন মাষ্টার বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি সহ অন্য সদস্যদের নিয়ে একটি জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি যে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো জানান, পায়ে শিকল পরা ওই তিন শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবক মাদ্রাসা থেকে নিয়ে গেছেন। মাদ্রাসা সুপারের এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য তারা আর সন্তানদের এই মাদ্রাসায় পড়াবেন না বলে জানিয়েছেন।

অধিকতর তদন্ত করে বিষয়টি আরো পরিস্কার হওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবের আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর-ই-জান্নাত ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদৎ হোসেন। গঠিত কমিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।


সর্বশেষ সংবাদ