ছাত্রীদের নিপীড়নের অভিযোগে কারাগারে শিক্ষক

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক ক্বারী শহীদুল ইসলামকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে ফতুল্লার কাশীপুর হোসাইনীনগর এলাকার ছাফিনাতুল উম্মাহ মহিলা মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতার শহীদুল ইসলাম নোয়াখালীর হাতিয়া থানার সন্দ্বীপের কামাল উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ছাফিনাতুল উম্মাহ মহিলা মাদরাসার শিক্ষক ক্বারী শহীদুল ইসলাম কৌশলে বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন করতেন। শিশুরা অনেকে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও উঠতি বয়সের মেয়েরা বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। তাই রোববার কয়েকজন ছাত্রী একত্রিত হয়ে তাদের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়।

পরে ছাত্রীদের অভিভাবকরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের কাছে বিচার দেন। পরে ছাত্রীদের মুখ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনার পর তিনি থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান, ভুক্তভোগীসহ তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে হাজির করে ঘটনার বিস্তারিত শুনে শিক্ষক ক্বারী শহীদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা আব্দুল হক বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

২০১৪ সালে মাদরামার মোহতামিম আব্দুল হক ও অভিযুক্ত শিক্ষক শহীদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন মিলে মাদরাসাটি গড়ে তোলেন। নানা সমস্যার কারণে মাদরাসা থেকে অন্য পার্টনাররা চলে যাওয়ার পর ক্বারী শহীদুল ইসলাম ও আব্দুল হক পার্টনারে মাদরাসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার রায় জানান, মাদরাসা শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।