ছাত্রীর শ্লীলতাহানি: দপ্তরিকে গণপিটুনী দিল এলাকাবাসী

দপ্তরি আবু সাঈদ
দপ্তরি আবু সাঈদ  © সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার দপ্তরি আবু সাঈদকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মামুরশাহী দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। আবু সাঈদ মামুরশাহী এলাকার লোকমানের ছেলে।

জানা যায়, দপ্তরি সাঈদ বুধবার সকালে মাদরাসার কমনরুমে ঢুকে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানী করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে অফিস কক্ষ থেকে শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া (মায়া) এসে ছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘটনার পর শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া মাদরাসার সুপার আমিনুলকে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য যোগসাজসে সারাদিন ছাত্রীকে আটকে রেখে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে বিকালে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আর সুপার আমিনুল লম্পট সাঈদকে নাকে খত দিয়ে ছেড়ে দেয়।

এরপর বাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে তারা এলাকাবাসীকে জানান। পরে স্থানীয়রা মাদরাসা ঘেরাও করে লম্পট আবু সাঈদকে ধরে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে মাদরাসা সুপার আমিনুলকে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

সভাপতি শাহাদত জানান, অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না, শাস্তি তাকে পেতে হবে। তবে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাউকে না জানানোর বিষয়টি তার জানা নাই বলে জানান তিনি।

ছাত্রীর বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, লম্পট আবু সাঈদকে এমন শাস্তি দেয়া হোক, যাতে সেই শাস্তি দেখে আর কেউ এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়। নইলে আজ আমার মেয়েকে কাল অন্য কোনো মেয়েকেও শ্লীলতাহানি করতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, পূর্বেও ওই মাদরাসার এক শিক্ষক এক মেয়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল, যা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।

শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, অভিযোগ পেয়ে লম্পট সাঈদকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।