শিক্ষকের তাড়া খেয়ে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

আহত শিক্ষার্থী রায়হান তালুকদার
আহত শিক্ষার্থী রায়হান তালুকদার  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোণার মদন উপজেলার বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক নূরে আলম খানের তাড়া খেয়ে দ্বিতল ভবন থেকে পড়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হান তালুকদার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সে বাস্তা গ্রামের শাহনূর তালুকদারের ছেলে। শনিবার আরবি ক্লাস নেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত রায়হান ভবন থেকে পড়ে গেলে ডান হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পায়। শিক্ষক ও সহপাঠীরা দ্রুত মদন হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

রবিবার রায়হান তালুকদারের সহপাঠী ইব্রাহিম, স্বাধীন ও তার বড় ভাই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাজহারুল জানায়, শনিবার আরবি ক্লাসে যাওয়ার জন্য আরবি শিক্ষক নূরে আলম হুজুর বেত নিয়ে দুই তলা ভবনে আমাদেরকে দৌড়ানি দেয়। বেত নিয়ে গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় ভয়ে ভবনের সাথে থাকা গাছ বেয়ে নামার চেষ্টা করি। রায়হান গাছে উঠার সময় নিচে পড়ে গিয়ে তার ডান হাত ও মাথায় আঘাত পায়। এই হুজুর প্রায়ই বেত্রাঘাত করায় আমরা আরবি ক্লাসে যেতে ভয় পাই।

আহত রায়হানের চাচা উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক সাদেক মিয়া জানান, আমি অফিস রুমে ছিলাম। বাচ্চাদের হৈ-হুল্লুর শোনে অফিস থেকে বের হয়ে জানতে পারি আরবি শিক্ষক নূরে আলম খানের তাড়া খেয়ে রায়হান দ্বিতল ভবন থেকে পড়ে আহত হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আমরা এ ব্যাপারে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।

অভিযুক্ত আরবি শিক্ষক নূরে আলম খান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, নৈশ প্রহরী সাইফুল ইসলাম ছাত্রদেরকে ক্লাসে আনার জন্য দ্বিতল ভবনে যায়। এর বেশি আমার জানা নেই। কিন্তু নৈশ প্রহরী সাইফুল ইসলাম জানান তিনি অফিস রুমে ছিলেন।

সহ-সুপার হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার আমি ছুটিতে ছিলাম। ঘটনা শোনে রবিবার মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য সভায় আলোচনা হয়েছে। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুসলিম মিয়া জানান, শনিবার শিক্ষকের তাড়া খেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। ছাত্রের অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছি।

ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায় নি। এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা আমার জানা নেই। তবে শিগগিরই খবর নেব।


সর্বশেষ সংবাদ