সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল

বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

গ্র্যান্ড ফাইনালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসাকে পরাজিত করে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে সরকারি বাঙলা কলেজ। জাতীয় ভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তারুণ্য রখবে উগ্রবাদ এই শ্লোগানে চ‚ড়ান্ত প্রতিযোগিতা বিষয় ছিল তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার উগ্রবাদকে উসকে দিচ্ছে কি না। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রিজওয়ান-উল-আলম, সম্প্রীতি প্রকল্পের ডেপুটি গ্রোগ্রাম ম্যানেজার ইশরাত পারভীন ইমা, আনিসুর রহমান খোন্দকার, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গীবাদ দমনে আমরা অনেকটাই সফল, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সবার অংশগ্রহণে আমরা একের পর এক অভিযান চালিয়ে উগ্রবাদী কর্মকান্ড রুখে দিতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন জঙ্গীবাদ দমনে রোলমডেল। জঙ্গীবাদ দমনে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আরও সতর্ক রয়েছে যাতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের এক অপূর্ব মিলন ভূমি। যেখানে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃীস্টান কারো মধ্যেই নেই কোনো ধর্মীয় উগ্রবাদীতা। পৃথিবীর বিভিন্ন অপশক্তি বাংলাদেশকে উগ্রবাদীতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তা প্রতিরোধ করতে সমর্থ হয়েছে। কারণ আমরা মনে করি সকল ধর্মই সত্য। সকল ধর্মের মধ্যেই মানবতার কথা আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি অপব্যবহারসহ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের তরুণদের সহিংস উগ্রবাদী কর্মকান্ডে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কর্মসংস্থান, সুশাসন, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, অপ্রতুল বিনোদনের ব্যবস্থা, বৈষম্যমুখী শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষার অভাব, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব, পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়া, হতাশা- ইত্যাদিও সহিংস উগ্রবাদ সংঘটিত হওয়ার জন্য দায়ী।

গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতা শেষে ট্রফি ক্রেস্টসহ চ্যাম্পিয়ন দল লালমাটিয়া মহিলা কলেজকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, রানার আপ দল তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসাকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী সরকারি বাংলা কলেজ দলকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ্য প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় দেশের মোট ১৬ টি কলেজ ও মাদ্রাসা অংশগ্রহণ করে। গ্র্যান্ড ফাইনালে বিচারক ছিলেন- অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক পারভেজ রেজা, সাংবাদিক শামীমা সুলতানা, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জাহিদ রহমান।

 


সর্বশেষ সংবাদ