করোনায় ঘরবন্দি শায়লার কবিতা ঝুলি

পয়সা কড়ি
টাকাকড়ি নেই হাতে,
স্বজন কোথায় পাই?
টাকা দিয়ে পুষেছিলাম,
বন্ধুবান্ধব ভাই।
শেষ সব পয়সা কড়ি,
জমা ছিলো যা।
ভিটেমাটি বেচে দিলাম,
যা ছিলো সকল তা।
পয়সা ফুরোলো বন্ধু উধাও
একাকীত্ব সাথী,
পেনশনগুলো উড়িয়ে দিয়েছি
নেই কিছুই আর বাকী।
মৌমাছি উড়ে গিয়েছে
অন্য মধুচাকে,
অমাবস্যায় ফিরবে তারা
নতুন কোনো বাকে।

স্বল্পতা
বিন্দু জমে সিন্ধু হলো
অণু থেকে কণা,
একটি কোষ বৃদ্ধি পেয়ে
মানবের সূচনা।

ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ হয়,
প্রকৃতির সত্য।
ভালোলাগা আর বিশ্বাস, সম্মান
ভালোবাসার তত্ত্ব।

এক এক করে একশো হলো,
শূন্য বড় দামি।
শূন্য ছাড়া পূর্ণ হয় না,
হোক সে যতই নামি।

দৃষ্টিভ্রম
ক্ষুদ্র যে জন হেলা করে,
বৃহৎ নাহি জোটে।
কুসুমকলি ছোট হলে,
ফুল তবে ফোটে।

ডিম্বক আমরা কজন দেখি?
ফলতো চোখে পড়ে!
ক্ষুদ্রে না তৃপ্তি পেলে,
দৃষ্টি গেছে মড়ে।

গুটি কয়েক অক্ষর নিয়ে,
মস্ত বড় বই।
নানান রূপে সামনে আসে,
ক্ষুদ্র তবে কই?

যে জন বলে ক্ষুদ্র মতি,
ক্ষুদ্র নারী নর।
আমি বলবো বিশ্বজুড়ে,
এদের আবাসন ঘরই।।

লেখক: শয়লা আক্তার (শারমিন), পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
সংগ্রহকারী: সাইফুল ইসলাম সায়েম, রাঙ্গাবালী।


সর্বশেষ সংবাদ