বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের যোগদান

  © সংগৃহীত

বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান যোগদান করেছেন। বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩-এর ৬(১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে রোববার (২৮ জুন) পরবর্তী তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে মোতাবেক আজ সোমবার (২৯ জুন) তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।

এ সময় একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সচিব অপরেশ কুমার ব্যানার্জী, পরিচালক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমির প্রয়াত সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের প্রয়াণে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানকে বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি হিসেবে স্বাগত জানিয়ে মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি পরিবার তাঁকে সভাপতি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত। আমরা তাঁকে আমাদের মাঝে আন্তরিক স্বাগত জানাই।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলা একাডেমি আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান। একাডেমির মহাপরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা নিশ্চয়ই আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠানকে জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আকাক্সক্ষার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান : সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার চারিগ্রামে (২৯ ডিসেম্বর ১৯৪০)। ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ১৯৬২ এবং স্নাতকোত্তর ১৯৬৩ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফোকলোর চর্চা, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, মুক্তবুদ্ধি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমকাল, বাঙালির বহুত্ববাদী লোকমনীষা, মীর মশাররফ হোসেন: নতুন তথ্যে নতুন ভাষ্যে, সৃজনভুবনের আলোকিত মানুষেরা, রঙ্গরসের গল্পসমগ্র, কিশোর রচনাসমগ্র, বাংলাদেশের উৎসব, বাংলা সন ও পঞ্জিকা, ফোকলোরচিন্তা ইত্যাদি।

শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা। বিভিন্ন সময় মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ, ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্বিবিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্বিবিদ্যালযয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ—এর চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ছিলেন।

সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০১), একুশ পদক (২০০৯) এবং ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার—এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয়, কুষ্টিয়া’র বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য।


সর্বশেষ সংবাদ