শিক্ষা খাত নিয়ে সরকারকে আরও ভাবতে হবে

  © টিডিসি ফটো

সুকান্ত দেবনাথ। নোয়াখালী সরকারী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। করোনাকালে বিশেষ পরিস্থিতি ও আসন্ন বাজেট নিয়ে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আবদুর রহমান

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনা সঙ্কটে বাজেট সাক্ষাৎকারে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম।
সুকান্ত দেবনাথ: আপনাকেও স্বাগতম।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এই বছর করোনা সংক্রমণ দেশের অর্থনীতির সব হিসাব নিকাশই পাল্টে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে কিভাবে দেখছেন?
সুকান্ত দেবনাথ: ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ১১ জুন ঘোষিত এই বাজেট জিডিপির ১৯.৯%। জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৮.২%। জিডিপির আকার হচ্ছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। রাজস্ব আয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।

কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতিত প্রাপ্তির পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা। ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তামাক, আসবাবপত্রসহ কিছু পণ্যের দাম বাড়বে। আর স্বর্ণ,ঔষধসহ কিছু পণ্যের দাম কমবে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আমদানি শুল্কমুক্ত করা হয়েছে।

মোটামুটি এই হল সংক্ষেপে বাজেটের ধরন। যদি স্বাভাবিক সময়ের বিবেচনা করা হয়, তাহলে এই বাজেট মোটামুটি আশাব্যঞ্জক বলা যেত। যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় তাই আগামী বাজেটটি ব্যতিক্রমী হওয়ার দরকার ছিল। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯–এর এত বড় আঘাতের কারনে আমি ব্যাক্তিগতভাবে আরও ব্যতিক্রমী আশা করে ছিলাম। সময় কম জানি, তবু বাজেটটিকে নতুন চেহারা দেওয়ার এখনো সময় আছে। কারণ আমরা জানি না করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোন দিকে ধাবিত হবে।

প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৮.২%। করোনা পরিস্থিতি বহাল থাকলে অর্জনযোগ্য মনে হচ্ছে না। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হলেও মধ্যবিত্তরা এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে কতটা সুবিধা নিতে পারবে বলা যাচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই বাজেটটি কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: করোনার কারণে সরকারের আয়ের খাতগুলো তো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এত ব্যয়ের চাপ সরকার চালাবে কীভাবে? আপনার পরামর্শ কী?
সুকান্ত দেবনাথ: করোনার কারণে সরকারের আয়ের খাতগুলো সংকুচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তার উপর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর ফলে রাজস্ব আদায় কমে যাবে। কারণ আদায়কৃত মোট আয়করের ৫৫-৬০% উৎসে কর হিসেবে আদায় করা হয়। বর্তমানে এলাকাভেদে ন্যূনতম করহার- ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ন্যূনতম ৫০০০ টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ন্যূনতম ৪০০০ টাকা এবং জেলা শহরে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা চালু আছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারকে ব্যাংক ঋণের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে। ব্যাংকখাত ও এই মুহূর্তে সরকারকেই বেশি ঋণ দিতে উৎসাহী হবে। তবে এতে করে বেসরকারি খাত ও ব্যাংকগুলো চাপের মধ্যে পড়বে, যদি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়।তখন ঋণের মোট চাহিদাকে মোকাবেলা করা ব্যাংকখাতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এর আরেকটি অন্যতম কারণ, অর্থমন্ত্রনালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীন ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ, যা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ১৭.৬০ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়।

এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে, বড় করদাতাদের আরও মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাঝারি মানের ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো কর দিচ্ছে কিনা,এই বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা। সুনির্দিষ্ট সমস্যা ধরে ধরে বাজেটের স্বচ্ছ ও দ্রুত বাস্তবায়ন। আর যত দ্রুত সম্ভব করোনা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করা। তা নাহলে কোন পরিকল্পনাই কাজে আসতে চাইবে না।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: এবারের শিক্ষা খাতে বরাদ্দের বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
সুকান্ত দেবনাথ: শিক্ষাখাতে শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে জাতীয় বাজেটের ১৫-২০ শতাংশ বরাদ্দের বৈশ্বিক অঙ্গিকার থাকলেও ২০২০-২১ বাজেটে তা ১১.৬৯ শতাংশ দেয়া হয়েছে। গতবছরের তুলনায় ০.০১ শতাংশ বেশি। যা মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় অনেক কম।শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মোট বরাদ্দ ৮৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। তারমধ্যে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।

এরমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ৮ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা খাতওয়ারি আধুনিক শিক্ষাব্যবস্হা নিশ্চিতে আরো বেশি হতে পারতো।

কারণ এর মধ্যে মোট বরাদ্দের ৪৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা অপারেটিং বাজেট। আর বাকি ২৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেট। সুতরাং শিক্ষা খাত নিয়ে সরকার আরও গভীরভাবে ভাববে বলে আশা প্রকাশ করছি। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার উন্নয়নে সবসময় যথেষ্ট আন্তরিক।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
সুকান্ত দেবনাথ: স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ২৯০০০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৫.২ শতাংশ। এটি গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৫ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা বেশি। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত ফ্রন্টলাইনারদের জন্য ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ২টি প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে- একটি বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকার এবং অন্যটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকার।

এছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন আছে। বাজেট বিবেচনায় আমার অভিমত হল, বাজেটের মাধ্যমে সরকার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ নজর দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অধীনে নিতে হবে। তাই সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্হার অগ্রাধিকার খাতগুলো বিশ্লেষণপূর্বক প্রয়োজনীয় খাতভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা গেলে একটা ধাপে ধাপে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যব্যবস্হাকে কাঙ্খিত জায়গায় নেয়া সম্ভব হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রবাসী আয়ে যে বড় ধাক্কা আসছে, এর কি হবে?
সুকান্ত দেবনাথ: দেখুন প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু সমস্যা আমাদের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে ।

প্রথমত বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের আয়ের উৎস সংকুচিত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, একটা বিশাল সংখ্যক প্রবাসী দেশে ফেরত আসতে পারে। সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছে। বেশকিছু দেশের সরকারকে কর্মী ছাটাই না করার অনুরোধ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ কয়েকমাস শ্রমিকদের ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে।

কিন্তু সমস্যা হল বিশ্বের সকল দেশই বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। তাই একটা বড় ধাক্কা আসতে যাচ্ছে, বলা যায়।

এই পরিস্থিতিতে কিছু পরিকল্পনা নেয়া যেতে পারে, যেমন সরকার বর্তমানে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা চালু করেছে। প্রণোদনা আরও বাড়ানো যেতে পারে। যাতে করে প্রবাসীরা হুন্ডির পরিবর্তে সরকার নির্ধারিত বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণ করে। তাহলে সরকার অনেক বেশি লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।

এছাড়া বর্তমানে সরকার ১০০টির বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। যার মধ্যে ১৭টির কাজ শেষের পথে। এগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা গেলে এবং দ্রুত পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করতে পারলে, রিকভারি করার একটা ভালো সুযোগ সরকারের হাতে থাকবে।

আপাতত স্বল্প সুদে কিছু আর্থিক প্যাকেজ বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। যাতে বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা বিনিয়োগ করে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্হা করতে পারে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন?
সুকান্ত দেবনাথ: প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বিনিয়োগ বাড়ছে না, কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ বিনিয়োগ না বাড়লে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিভাবে? বরং এটা বলা যেতে পারে, বিনিয়োগ আশানুরূপ বাড়ছে না।

বিনিয়োগ বৃদ্ধি অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ মানবসম্পদ, পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্হা,শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্হা,বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।


এছাড়াও বিনিয়োগের একটি বড় উপাদান হচ্ছে সামাজিক সক্ষমতা। অর্থাৎ দেশের সাধারণ মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধি পেলে সকল পণ্যের অভ্যন্তরীন চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এতে করে দ্রুত বিনিয়োগ বাড়ে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোর নির্মাণ প্রয়োজন।

বর্তমান সরকার এই জায়গাটাতে দারুণ সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেশকিছু বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। যেমন - বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পদ্মাসেতু,১০০টির বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেট্রোরেল ইত্যাদি। এছাড়া এটা স্বীকার করতেই হবে বাংলাদেশে সামাজিক সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি যত দ্রুত শেষ হবে, তত দ্রুত বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

হ্যাঁ এটা ঠিক যে অনেকগুলো জায়গায় আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যেতে পারিনি। তাই বিনিয়োগ আশানুরূপ বাড়েনি। প্রধানমন্ত্রী সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সুশাসন বিনিয়োগকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করে। সুতরাং ভালো সময় আসবে বলে আশা করা যায়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি কি মনে করেন, যেখানে করোনা সঙ্কটে মানুষের অর্থনীতির চাকা অনেকটাই হুমকির মুখে, এই অবস্থায় কি প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে সরকার?
সুকান্ত দেবনাথ: আপনার প্রশ্নের মধ্যে উত্তর কিছুটা লুকিয়ে আছে। অর্থাৎ করোনা সঙ্কটে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। দেখুন যুদ্ধ টিকিয়ে রেখে যেমন শান্তি প্রতিষ্ঠা পুরোপুরি সম্ভব নয়।ঠিক তেমনি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন পরিকল্পনাই পুরোপুরি সফল হবে না।

কিন্তু প্রচেষ্টা তো চালিয়ে যেতে হবে। ধরুন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ভ্যাক্সিন বাজারে চলে আসে এবং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তখন তো আবার প্রশ্ন উঠবে সরকার এটাকে বিবেচনায় নেয়নি। সুতরাং এটা বলা যায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। কারণ সামগ্রিক চাহিদার ঘাটতি থেকেই যাবে, যদি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ