পড়াশোনা কর, যোগ্যতাই একদিন তোমার জায়গায় নিয়ে যাবে

অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন আল মাদানী
অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন আল মাদানী  © টিডিসি ফটো

লক্ষ্মীপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ‘টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা’ একটা ঐতিহাসিক দীনি প্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম অধ্যক্ষ মাওলানা আশরাফ আলী রহ. (বড় হুজুর)। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ম অধ্যক্ষ হিসেবে মাদ্রাসাটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মাওলানা হারুন আল মাদানী। কর্মজীবনের শুরু থেকে এ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলায় জেলায় ঘুরে জনসাধারণের মাঝে হেদায়েতের বাণী প্রচার করে আসছেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তার ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনে সফলতা এবং মাদ্রাসাটির শতবর্ষের আয়োজন নিয়ে কথা হয়েছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন— ইলিয়াস শান্ত

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আসসালামুয়ালাইকুম, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে আপনাকে স্বাগতম।
মাওলানা হারুন আল মাদানী: ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। আপনাকেও শুভেচ্ছা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শত বছরের দ্বারপ্রান্তে টুমচর মাদ্রাসা। আপনার দৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষয়টা কেমন কাজ করছে?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: এটা মাদ্রাসাটির শতবছর পূর্ণ হওয়ার একটা অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই অনেক উৎসাহী। কারণ এখানে নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা হবে। যারা নতুন আছে তারা পুরাতনদের থেকে অভিজ্ঞতা নিবে। পুরাতন শিক্ষার্থীরা কে কোথায় আছে সবাই দেখবে, জানবে।
বড় হুজুর (রহ.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহ তুমি কেয়ামত পর্যন্ত এ মাদ্রাসাকে প্রতিষ্ঠিত রাখ’। সে ধারাবাহিকতায় শতবর্ষের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা মানুষের মাঝে একটা গতি জাগিয়ে তুলতে চাই। যাতে করে এ মাদ্রাসা আগামী দিনে আরও উন্নতি, সফলতা ও গতিশীল করা সম্ভব হয়। এ নিয়ে আমরা জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখতে পাচ্ছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শতবর্ষের এ অনুষ্ঠানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজনটা কি থাকছে?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ‘নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা হবে’ এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়। এছাড়া এরসঙ্গে হয়তো আরও বিভিন্ন কিছু ইভেন্ট থাকতে পারে। আমাদের জাতীয় পর্যায়ে নামকরা যেসব আলেম-ওলামারা রয়েছেন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর চিন্তাভাবনা করছি। সম্ভব হলে এ অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাইরের কাউকে নিয়ে আসার চেষ্টা রয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের কেরাত অনুষ্ঠান আয়োজনেরও চিন্তাভাবনা আছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শতবর্ষী একটা দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হিসেবে নিজেকে কিভাবে দেখেন?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: আল্লাহ তা’য়ালার শুকরিয়া আদায় করি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন নিজের শেষ সময় চলে এসেছে। নিজের শেষ সময়ে এসে মাদ্রাসার শত বছরেও হাল ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যে আদর্শের উপর এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত, শতবর্ষে এসেও এলাকাবাসী এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় সে আদর্শ ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। যাতে করে আগামী দিনেও এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে এমন যোগ্য ব্যক্তি মাদ্রাসার হাল ধরবে- এমনটাই আশা করছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যে প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাজীবন শুরু, সে প্রতিষ্ঠানেই কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় প্রিন্সিপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দায়িত্ব পালনকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: এখানে আমার শিক্ষাজীবন শুরু এবং কর্মজীবন হওয়াতে কাজ করতে বেশ সুবিধা হয়েছে। মাদ্রাসার প্রতিটি বালিকণার সাথে আমি যেহেতু জড়িত, মাদ্রাসার প্রতিটি ফাঁকফোকর আমার জানা। কীভবে মাদ্রাসার উন্নতি, কীভাবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উন্নতি করতে হবে এ বিষয়ে আমার একটা ধারণা হয়ে গেছে। আমি যাদের কাছ থেকে পড়েছি তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেই এখানে কাজ শুরু করাতে সবমিলিয়ে সুবিধা হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বড় হুজুর (রহ.) এর কাছে আমি পড়েছি, ছোট হুজুর (রহ.) এর কাছেও আমি পড়েছি। এর পরে যারা মাদ্রাসার দায়িত্বে ছিলেন উনাদের কাছেও আমি পড়েছি এবং আমি উনাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। এজন্য তাদের কথা শুনেছি, শিক্ষক হিসেবে উনাদের দায়িত্ব আমি সরাসরি দেখেছি। আমি ওই পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে নিজের কাজে লাগানোটা সুবিধা হয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একটা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হিসেবে সে প্রতিষ্ঠানে তার অধীনস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কিভাবে পরিচালনা করা উচিত? এ বিষয়টা আপনি কিভাবে করছেন
মাওলানা হারুন আল মাদানী: এখানে রাসূল (সা.) যেভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের কথা বলেছেন, ‘সন্তানের জন্য পিতা যেরকম, আমিও তোমাদের জন্য সেরকম’। আমি আমার প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকে আমার সন্তানদের থেকেও আপন মনে করি। আমার সন্তানরাও এখানে লেখাপড়া করেছে। তবে ওদের শিক্ষাজীবনে কেউ এটা বুঝতে পারেনি যে, কে আমার সন্তান আর কে অন্যের সন্তান। আমি এভাবে সকলের সঙ্গে সমভাবাপন্ন ছিলাম। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এখনো সেরকমই আছে।
এছাড়া আমার সহকর্মী যারা আছেন, তাদেরও আমি একই পরিবারের সদস্য মনে করি। মাঝেমধ্যে তাদের থেকে পরামর্শ নেই। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমার চলা। সিদ্ধান্ত আমারই থাকে, তবে তাদের পরামর্শ আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: টুমচর মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্বে থাকাকালীন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে স্বরণীয় একটা বিষয়ের কথা বলেন
মাওলানা হারুন আল মাদানী: আমার কাছে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটা বিষয়ই স্বরণীয়। এখানে আলাদাভাবে কোন কিছুকে স্বরণীয়ভাবে দেখিনি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মাদ্রাসার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কিভাবে কাজ করেন? আমরা দেখেছি, প্রতি বছরই আগের বছর থেকে সব পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো করছে।
মাওলানা হারুন আল মাদানী: আমরা প্রত্যেক বছরের শুরুতে এবং মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলেই শিক্ষকদেরকে নিয়ে বসি। কীভাবে আরও একটু ভালো করা যায়- এসব বিষয় নিয়ে।
আর আমরা প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিয়ে মসজিদে বসি। এসময় আমরা তাদের মানসিক এবং চারিত্রিক পরিবর্তনের বিষয়ে উৎসাহিত করি। লেখাপড়ার পাশাপাশি এ বিষয়টা শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ প্রভাব ফেলে। আর আমাদের এখানে এমন একটা পরিবেশ কাউকে বলতে হয় না, শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ থেকে মসজিদে এসে জামায়াতের সঙ্গে নামাজ পড়ে। নামাজ শেষে আমরা সবাই একসঙ্গে দোয়া করে তারপর মসজিদ থেকে বের হই।
এই যে তাদের মানসিক এবং চারিত্রিক একটা পরিবর্তন- লেখাপড়ার পাশাপাশি এ গুণ থাকাতে তারা আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠতেছে, ভালো করছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপানার হাতে গড়া টুমচর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সারা বাংলাদেশ থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। এক একজন এক একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে, সফল হচ্ছে। সে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হিসেবে বিষয়টা কিভাবে দেখেন?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: টুমচর মাদ্রাসার যে সমস্ত নীতিগুলো, বড় হুজুর (রহ.) শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০টা নীতি নির্ধারণ করে গেছেন। আমরা সবসময় তাদের এসব বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেই। মাদ্রাসা লেখাপড়ার যে নিয়ম এখানে, ওই নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন শিক্ষার্থী পড়ে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে সুসম্পর্ক তা বজায় রেখে যদি চলে, এ ছাত্র যদি রেজাল্টও ভালো না করে তবুও এরা কর্মজীবনে কিন্তু খুব অগ্রসহ হয়ে যায়। কারণ তাদের এ লেখাপড়ায় একটা বরকত হয়।
আমরা দেখেছি, অনেক শিক্ষার্থী ছাত্র জীবনে খুব নামকরা ছিল না। কিন্তু কর্মজীবনে মাশাল্লাহ খুব সফল হয়ে গেছেন। তারা ভালো প্রতিষ্ঠানে আছে, প্রিন্সিপালের দায়িত্বে আছে বা ওয়াজের ময়দানেও ভালো ওয়ায়েজ হিসেবে আছে কিংবা রাজনৈতিক ময়দানেও ভালো ভুমিকা রাখতেছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ছাত্রসমাজ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে বৃহত্তর নোয়াখালীর বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে হেদায়েতের বাণী প্রচার করে আসছেন। আপনাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশার জায়গাটা বিশাল। তাদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: সাধারণ মানুষ যদি আলেম-ওলামাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে চলে তাহলে তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাবে। আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি, যে এলাকার মানুষ আলেম সমাজের সাথে সম্পৃক্ত নয় সে এলাকায় শিরক-বেদায়াত ডুকে যায়। এজন্য যেকোন মানুষের একজন ভালো আলেমের সাথে সংযোগ থাকা দরকার।
আর ভালো আলেম কে? কোন ব্যক্তি এটা খুব সহজেই বেছে নিতে পারবে। কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত হলো তার বিবেক। এজন্য আমি সবাইকে এ কথাই বলি, আপনি বিবেক খাটিয়ে একজন ভালো আলেম বাঁছাই করে নিবেন। ওই আলেমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ তা’য়ালা জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দিবেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শিক্ষার্থীদের অনেক সময় হতাশ থাকতে দেখা যায়। যেমন ধরেন পড়াশোনা শেষ করে আমি কি হবো, আমাকে কি হতে হবে? তারা এটা কিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে।
মাওলানা হারুন আল মাদানী: এসব বিষয়গুলো সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে। আমরা যখন লেখাপড়া করেছি, তখন ভবিষ্যত নিয়ে কখনো চিন্তা করিনি। এসময় আমার দায়িত্ব কি? আমি শুধু নগদটাই করেছি। প্রত্যেকটা মানুষ যদি এখন আমার করণীয় কি সেটা ঠিক মতো পালন করে তাহলে তার আগামী দিনের ব্যবস্থা আল্লাহ তা’য়ালাই করে দিবেন।
এজন্য আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো, যদি ওরা ভালো করে লেখাপড়া করে, আল্লাহ তা’য়ালা তার যোগ্যতায় তাকে তার ভালো জায়গায় পৌঁছেই দিবেন। এসব নিয়ে হতাশার কিছুই নেই। যেখানে রাসুল (সা.) সার্টিফিকেট দিয়ে দিছেন, ‘যে কোরআন শিখে এবং শেখায় সে সবচেয়ে ভালো মানুষ’। আর রিজিক তো আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সৃষ্টির আগেই নির্ধারণ করে রাখছেন। আমার রিজিক তো আমার কাছে পৌঁছেই যাবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অবসর সময় খুব একটা পাওয়া হয় না মনে হয়। অবসর পেলে কোন কাজটা করেন বা কোন কাজটা করা উচিৎ?
মাওলানা হারুন আল মাদানী: অবসর সময়ে আমি গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলো নিয়ে বসি। এখন অবসর ছিলাম, এ সময়ে আমি কোরআন তেলওয়াত করেছি। অবসরের সময়টা অপচয় না করে ভালো কাজে লাগালে সেটাও দামি সময় হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণীল ক্যারিয়ারের সফলতার গোপণ রহস্যের সারসংক্ষেপটা ছোট করে বলেন।
মাওলানা হারুন আল মাদানী: ছাত্র জীবনটা যে কত মূল্যবান, এটা তারা এখন বুঝে না। যেমন আমরা ছাত্র জীবন পার করে আসছি এবং এখন জীবনেরও শেষ প্রান্তে। সময় তো খুব নষ্ট করেনি, তবুও পেঁছনের কথা মনে হলে খুব আপসোস লাগে যে, ইচ্ছে করলে মনে হয় আরও অনেক কিছু করতে পারতাম।
এজন্য ছাত্রজীবনের যে বয়স, মেধা, আল্লাহ তা’য়ালার দেয়া প্রত্যেকের মাঝে যে প্রতিভা লুকায়িত থাকে- অনেকে এ সময়ে এসব বুঝে উঠতে পারে না। এ সময়টাকে যদি তারা যথাযথভাবে কাজে লাগায় তাহলে তারা জাতিকে আমাদের চেয়ে অনেক বেশিকিছু দিতে পারবে। কারণ এখনকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাদের তুলনায় প্রতিভা, মেধা এবং ফুটিয়ে তোলার পরিবেশ অনেক বেশি প্রশস্ত। এজন্য ওরা যদি সময়টাকে একটু কাজে লাগায় জাতি অনেক বেশি উপকৃত হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দেওয়ার জন্য।
মাওলানা হারুন আল মাদানী: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ