কোচিং না করেও বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব

বিসিএস ক্যাডার হওয়া এখন সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের কাছে সাধনা বা স্বপ্নের চেয়ে বেশি কিছু। আর সেই বিসিএস পরীক্ষায় ছয়বার প্রিলি টপকানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে গাজী মিজানুর রহমানের। ৩৫তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে বর্তমানে কর্মরত। এছাড়া বিসিএস, প্রাইমারি নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। বিসিএস ও চাকরির পরীক্ষায় নবীনদের প্রস্তুতি ও পরামর্শ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন— ইলিয়াস শান্ত

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি বিসিএস, প্রাইমারি নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। লেখালেখির এ আগ্রহটা কিভাবে আসলো বা কারো কাছে থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন কী?

গাজী মিজানুর রহমান: অনার্স সেকেন্ড ইয়ার থেকে আমি বিসিএসের জন্য অল্প অল্প করে আর থার্ড ইয়ার থেকে সিরিয়াসলি পড়াশোনা শুরু করি। যখন আমি চাকরির জন্য পড়াশোনা শুরু করি, তখন থেকে আসলে আমার লেখালেখির প্রথম হাতেখড়ি। চাকরির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আমি বাজারের প্রচলিত বেশকিছু বই অনুসরণ করি। এ সময়টাতে আমার মনে হয়েছে, এসব বইগুলোতে অগোছালো একটা ব্যাপার রয়েছে। তখন থেকে আসলে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি যদি একটা পর্যায়ে যেতে পারি শিক্ষার্থীদের জন্য এমন কিছু আনার চেষ্টা করবো, যেখানে সবকিছু গোছালো আকারে থাকবে। আর সেটা অনুসরণ করলে শিক্ষার্থীরা খুব অল্পতে প্রস্তুতি নিতে পারবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: চাকরির বাজারে যাদের টার্গেট বিসিএস কিংবা অন্যান্য বড় বড় প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার, তারা নিজেদের প্রস্তুতির জন্য কখন থেকে পড়াশোনা শুরু করবেন বা এ বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে উঠতে কখন থেকে পড়াশোনা শুরু করা উচিত?

গাজী মিজানুর রহমান: অনার্সে আমাদের যে বিশাল সময় থাকে তার তুলনায় এখানের সিলেবাস বা পড়াশোনা খুবই কম। এখানে যদি কেউ একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে গবেষণা না করে অর্থাৎ কেউ যদি গবেষক না হয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে তাহলে তার উচিত হবে অনার্সের শুরু থেকে অল্প অল্প করে চাকরি প্রস্তুতি শুরু করা। অনার্সের পরেই যেহেতু বিসিএসে আবেদন করা যায় সেক্ষেত্রে কেউ যদি আগে থেকে অল্প অল্প করে শুরু করে তাহলে সে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবে। এখানে তাকে অবশ্য একাডেমিক পড়াশোনাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাজারে পরীক্ষার প্রস্তুতির উপর অনেক সহায়ক বই রয়েছে। এজন্য আপনার লেখা বই কেন চাকরি প্রত্যাশীরা বেছে নেবেন?

গাজী মিজানুর রহমান: আমাদের বইগুলোর আলাদা কনসেপ্ট আছে। বইগুলোর মূল স্লোগান হচ্ছে ‘কম পড়বেন, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গুছিয়ে পড়বেন’। এ স্লোগানের মধ্যে আমাদের বইগুলোর বিষয়ে মেসেজ রয়েছে। সবগুলো বইয়ের মূল কনসেপ্ট হল— এমন বিষয়গুলোই থাকবে যেগুলো পরীক্ষা উপযোগী। এসব টপিক্সগুলোকে একটা জায়গায় নিয়ে আসাই হলো আমাদের উদ্দেশ্য।

এছাড়া যেসব টপিক্সে শিক্ষার্থীরা দুর্বল সেসব জায়গাগুলোতে আমাদের বইয়ে হাইলাইটস করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো প্রস্তুতি নিতে চায় তাহলে আমাদের বইগুলো তাদের জন্য সহায়ক হবে। তবে কেউ যদি বিস্তারিত পড়তে চায়, তবে বাজারে তাদের জন্য অনেক বই রয়েছে, আমরা সেগুলো সব সময় সাজেস্ট করি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সকল কিছুতে আত্মতৃপ্তির একটা বিষয় থাকে— এভাবে না হয়ে অন্যভাবে হলে আরও ভালো হতো— এক ধরণের অতৃপ্তি। আপনার লেখা বইগুলোর ক্ষেত্রে এমন কিছু মনে হয়েছে?

গাজী মিজানুর রহমান: প্রাইমারি কিংবা বিসিএস বলেন আমাদের বইগুলোর যারা রিয়েল পাঠক তাদের থেকে সবসময় যে রিভিউটা হলো— বইয়ের সব কিছু ঠিক আছে। তবে গণিতের সাইটে আরেকটু ইমপ্রুভ করলে বইগুলো আরো মানসম্মত হবে। আসলে অতৃপ্তি জায়গাটা সকল লেখকেরই করে থাকে। পরবর্তী সংস্করণে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী গণিতের সাইটগুলোতে আরও বেশি সময় দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: দীর্ঘ সময় ধরে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় একাডেমিক ডিগ্রি অর্জনের পরেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী কোচিংয়ের দারস্থ হচ্ছেন। এমনটি কেন হচ্ছে? আগের সময়েও কি এভাবে কোচিংয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হতো কিনা?

গাজী মিজানুর রহমান: আমি নিজেও কখনো কোন কোচিং করিনি। আমি যেটা করেছি সেটা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ গ্রুপ স্টাডি। একটা সময় কোচিং ছিল না, শেষ কয়েক বছরে ধীরে ধীরে কোচিংয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মাধ্যমে অনেকের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কোচিং ছাড়া চাকরির পরীক্ষায় ভালো করা যায় না। শিক্ষার্থীরা যদি গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে তাদের বেসিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে তাহলে কোচিংয়ের প্রয়োজন হবে না।

আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, আগের বিসিএস আর বর্তমান বিসিএসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেখানে আগের তুলনায় এখনকার প্রতিযোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী এ অসম প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখতে কোচিংয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অন্যদিকে কোচিং সেন্টারগুলোর প্রচার-প্রচারণা অনলাইনভিত্তিক সহজ হওয়ায় তারা শিক্ষার্থীদের নিকট খুব দ্রুতই পৌঁছে যেতে পারছেন। আগে এ সুযোগটা তেমন ছিল না। তবে আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, কোচিং যে একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি এগিয়ে রাখবে তা কিন্তু নয়, কোচিং শুধুমাত্র তাকে পথ দেখিয়ে দেয়। অর্থাৎ কোচিং না করেও বিসিএস ক্যাডার হওয়া সম্ভব।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কোচিংয়ে ভর্তি না হয়ে কিংবা প্রস্তুতি সহায়ক বইগুলো পড়া ব্যতিত চাকরি পাওয়ার সুযোগ কতটুকু?

গাজী মিজানুর রহমান: এখন পর্যন্ত কোচিং করার তুলনায় কোচিং না করা মেজরিটি সংখ্যক শিক্ষার্থীর চাকরি হচ্ছে। তবে কোচিং করে জব পাওয়া আর কোচিং না করে জব পাওয়া শিক্ষার্থীদের উভয়েই চাকরির প্রতিযোগিতার উপর সহায়ক বই পড়ছেন। এটা স্বাভাবিক কোচিং ছাড়া জব হতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে চাকরির প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন প্যাটার্ন যে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে তা জানার জন্য অবশ্যই তাকে চাকরির প্রস্তুতি সহায়ক বইগুলো পড়তে হবে। কারণ আমাদের একাডেমিক আর চাকরির পড়াশোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: একাডেমিক বই আর চাকরির বইয়ে পার্থক্য কোথায়?

গাজী মিজানুর রহমান: একাডেমিক বইগুলো হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীকে জাতীয় পাঠ্যক্রমের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে একটা প্রবণতার উপর প্রতিষ্ঠিত করা। যেখানে একজন শিক্ষার্থী একটা গতানুগতিক ধারার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। অন্যদিকে আপনি দেখবেন, বিসিএস প্রশ্ন প্যাটার্ন একরকম, প্রাইমারির একরকম এবং ব্যাংকের আরেকরকম। মূলত এখানেই আমাদের একাডেমিক পড়াশোনা আর চাকরির পড়াশোনার মধ্যে পার্থক্য। একাডেমিক পড়াশোনা আর চাকরি পড়াশোনা মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা জানার জন্য আমাদেরকে একাডেমিক পড়াশোনার পরে জব পাওয়ার জন্য চাকরির প্রস্তুতি সহায়ক বই পড়তে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছেন। সামনে আরও অনেক কিছু করবেন। আপনার প্রচেষ্টার এই গল্পগুলো থেকেও অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। যা অনেকের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে কী বলবেন?

গাজী মিজানুর রহমান: যত বড় কাজ তত বেশি চ্যালেঞ্জ। মানুষ যখন একটা কাজ করতে যাবে তখন অবশ্য তাকে ঝুঁকি নিতে হবে। তবে আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা অনেক বেশি ভুগতে হয়। আমরা যখন নতুন কোন কাজ করতে যাই তখন নির্দিষ্ট একটা শ্রেণীর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। এখানে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইটা বিষয়ই থাকে। তবে এদের মধ্যে অনেকেই না বুঝে সমালোচনা করেন। আর বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তো রয়েছে। আমি মনে করি, এ সমালোচনাকে মোকাবেলা করাটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যেটা হচ্ছে নেতিবাচক মানুষগুলোকে ইতিবাচক ধারণায় নিয়ে আসা। মানুষের আলোচনা-সমালোচনার মাঝে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে সামনে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আগামীতে চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য নতুনত্বের সঙ্গে মিজানুর রহমানের লেখা কোন বই আসছে? যেগুলো আরও সহজে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

গাজী মিজানুর রহমান: আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। বাজারে চলমান বইগুলোর মধ্যে বিসিএস প্রিলিমিনারি এনালাইসিস ও প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ এনালাইসিস বইগুলোর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রতি শিক্ষক নিবন্ধনের একটা প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে আমরা এই শ্রেণীটাকে নিয়ে কাজ করছি। অতি শীঘ্রই তাদের জন্য শিক্ষক নিবন্ধন এনালাইসিস বাজারে আসবে। অন্যদিকে আমাদের প্রথম দুই বইয়ের মধ্যে ইংরেজি সাইটটাতে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা বলছেন, ইংরেজির উপর সকল চাকরির প্রস্তুতি সহায়ক একটা পূর্ণাঙ্গ বই বের করতে। আমরা সেটা নিয়েও কাজ শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য ইংলিশ এনালাইসিস (বেসিক টু অ্যাডভান্সড) ও বাজারে আসবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিসিএসসহ চাকরি পরীক্ষার প্রিলি সহজে পার হতে যদি প্রথম তিনটি করণীয়ের কথা বলতে বলি, তাহলে এর মধ্যে কী কী রাখবেন?

গাজী মিজানুর রহমান: চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে একটা লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আর প্রধান লক্ষ্যের সঙ্গে অল্টারনেটিভ আরেকটি লক্ষ্য সাথে রাখতে হবে। কারণ মানুষ যখন একটা কাজ করতে যায় তখন তার ঝুঁকি থাকে, থাকে সম্ভাবনা। আর এই জায়গাটাতে আমি যদি প্রথম লক্ষ্যে উপনীত হতে না পারি তাহলে আমি কি করবো। একটা লক্ষ্য স্থির করার পর এ লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য তাকে একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আর এসব কিছুর মাঝেই এক ধরণের প্রতিকূল পরিবেশ থাকবে যেখানে তাকে সব সময় নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনি ৬ বার বিসিএস প্রিলি পাস করেছেন। এক্ষেত্রে কোন দিকটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন?

গাজী মিজানুর রহমান: আমাকে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রেখেছিল সেটি হচ্ছে আমি গ্রামে পড়াশোনা করেছি, সেই জায়গাটা আমার গণিত এবং ইংরেজির মধ্যে দুর্বলতা ছিল। আমি যখন বিসিএস বা জবের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি, প্রথমেই আমি আমার দুর্বল জায়গাগুলোতে কাজ করেছি। তবে এখনকার ২০০ নম্বরের সিলেবাসে ৬০ নম্বরের সাধারণ জ্ঞান আমাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রেখেছে। যে বিষয়গুলো ভালো পারি আর যেখান আমার দুর্বলতা ছিল সেগুলো গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে সমাধান করেছি। এছাড়া আমি বাংলার উপর চাকরি সহায়ক বেশকিছু বেসিক বই পড়েছি। আর এভাবে দুর্বল জায়গা ধরে ধরে পড়ার মাধ্যমে আমি মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সম্প্রতি ৪১তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ হয়েছে। তাদের প্রস্তুতিকে সহজ করতে কী বলবেন?

গাজী মিজানুর রহমান: ৪১তম বিসিএসের প্রস্তুতি নিবে তাদের প্রথমে উচিত হবে বিসিএসের সিলেবাসটাকে দেখা। যার মাধ্যমে সে একটা ধারণা লাভ করতে পারবে। তারপর বিসিএসের বিগত সালের প্রশ্নগুলো তাকে দেখতে হবে। বিশেষ করে বিসিএসের নতুন সিলেবাসের ৩৫ থেকে ৪০তম পর্যন্ত প্রত্যেকটা বছরের প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা সবার পড়তে হবে।

যারা সংক্ষেপে প্রস্তুতি নিতে চায়, তারা বিসিএস প্রিলিমিনারি এনালাইসিস বইটি দেখতে পারেন। এর পাশাপাশি জব সলিউশন বইটি পড়তে পারেন, প্রফেসরস প্রকাশনীর বিসিএস বিশেষ সংখ্যা বইটিও পড়তে পারেন এবং সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান যেকোন একটা বই দেখতে পারেন। তবে যারা ব্রডলি প্রস্তুতি নিতে চায় তাদের প্রস্তুতি অন্যরকম হবে।


সর্বশেষ সংবাদ