র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢাবি নেই, কথাটি সত্য নয়

  © টিডিসি ফটো

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদ ডাকসু দীর্ঘ ২৮ বছর পর চালু হওয়া, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে প্রথম ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করাসহ সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেছেন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিশ্চিত করা আর শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নই প্রধান লক্ষ্য আমাদের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইরফান হক-

টিডিসি: দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সচল হয়েছে। ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে কেমন সম্পর্ক বিরাজ করছে?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: দীর্ঘদিন পর ডাকসু সচল হওয়ায় শুরুর দিকে একটু অগোছালো ছিল। একটু অস্থিরতা ছিল। দীর্ঘ ২৮ বছর পর হওয়ায় এমনটাই ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটি কাটিয়ে উঠেছে। এখন ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে বেশ সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। কোনো পরামর্শের জন্য ডাকসুর প্রতিনিধিরা আমার কাছে আসে। ইতিমধ্যে তারা বেশকিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তাদের অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। আনন্দটি এখানে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ডাকসু একীভূত হয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্ম উদ্যোগগুলো খুব জোরদার হচ্ছে। সম্প্রতি সাত কলেজ আন্দোলনে ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি একটি ইতিবাচক প্রভাব। তারা ছাত্রদের যে কোনো যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত, এটা একটি চমৎকার একটি বক্তব্য। তারপর আন্দোলন-সংগ্রামে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার আহ্বান জানিয়েছে তারা। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে যে কোনো জিনিসকে অর্জন করা, এসব কথা ডাকসুর নেতারা জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। ফলশ্রুতিতে ছাত্রদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এসব ইতিবাচক অভিজ্ঞতা। এছাড়া যে কোনো বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। তারা মতামত দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মূল্যবোধে জায়গাটুকু ক্রমান্বয়ে উজ্জীবিত হচ্ছে।

টিডিসি: অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই সব কর্ম প্রয়াস গৃহীত হবে এবং আমরা সেদিকে এগোচ্ছি। ছাত্রদের যে কোনো সেন্টিমেন্ট সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হয়। কারণ, ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় এক ও অভিন্ন। আমাদের স্বার্থও অভিন্ন। ফলশ্রুতিতে তাদের যে মত-উপলব্দি, সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় ধারণ করে। ছাত্ররা আমাদের পক্ষ-প্রতিপক্ষ নয়, সবাই মূলত একপক্ষের। তাই আমাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়- এমন কোনো বিষয় গ্রহণ করব না। এজন্যই কিন্তু আমরা অধিভুক্ত সাত কলেজের ব্যাপারে একটি ইতিবাচক ওয়েতে এগোচ্ছি। এ সমস্যা সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডাররা রয়েছেন। তারা এখন সুপারিশ দেবেন। এ সুপারিশ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং বিষয়টি ক্লিয়ার হয়ে যাবে। যেহেতু এসব সরকারি কলেজ। মূলত অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যার একটি সুষ্ঠু এবং স্থায়ী সমাধান হোক সেটা চাই। 

টিডিসি: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন-এ সিদ্ধান্তটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের মতো হবে কি না?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: কলেজগুলোকে অধিভুক্তকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকতে হবে। একক নীতিমালা, কারিগরি দক্ষতাসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে। অগোছালো এবং অপরিকল্পিতভাবে এগোলে সমস্যা বাড়বে। সে কারণে আমাদের অনেক চিন্তাভাবনা করে, সবকিছু পর্যালোচনাপূর্বক এগোতে হবে; যাতে কোনোক্রমেই শিক্ষার্থীদের জীবনের  ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। শিক্ষার যে গুণগত মান, তা যেন ব্যাহত না হয়, সেটির দিকেও যতœশীল থেকে এগোতে হবে।

টিডিসি: চলতি বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিকের সঙ্গে লিখিতও নেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্তটি কেন নেওয়া হয়েছে?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: ভর্তি পরীক্ষায় এটি একটি সংস্কার মাত্র। একটা সময় ভর্তি পরীক্ষা শুধু লিখিত হতো। এরপর নৈর্ব্যক্তিকের যুগে প্রবেশ করা হয়েছে। নৈর্ব্যক্তিকের পরীক্ষায় আমরা কতগুলো বিষয় লক্ষ্য করেছি। সেটি হলো শিক্ষার্থীদের লেখনশৈলী, লেখন দক্ষতা, কোনো বিষয়কে এনালাইসিস করার ক্ষমতা এবং সেগুলোকে লিখে প্রকাশ করাÑ এ নানাবিদ বিষয়ে ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে নানাভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। আমরা তাহলে শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে পারছি না-এ প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে। তখন আমরা একাডেমি কাউন্সিলে চলতি বছর থেকে এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিকের সঙ্গে লিখিতও নেওয়া হবে। লেখন বিদ্যাশিক্ষার্থীদের নানাভাবে দক্ষ করে তুলে। শিক্ষার গুণগত মান আরও উপরে ওঠে। 

টিডিসি: শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয়টি সামনে রেখে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: বিষয়টি সামনে রেখে নানাবিদ কর্মসূচি আছে। অনেকগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন কমিটি সেগুলো নিয়ে কাজ করবে। ১০০ বছর পূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কেমন অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, সেটার জন্য আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত এবং শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের প্রধান টার্গেট থাকবে। ৯৮ বছরের ইতিহাসে আমাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছিল না। আমরা প্রথম বারের মতো একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এটি হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবেশ-এ দুটিই খুবই সুসজ্জিত ও পরিকল্পিত হবে। একটি পরিকল্পিত ক্যাম্পাস হবে। এটি বিনির্মাণে পূর্বশর্ত হলো মাস্টারপ্ল্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথমবারের মতো সেটি করতে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এখানে বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়গুলো সামনে রেখে ২০২১ সালের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। 

টিডিসি: আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে রয়েছে কেন?
ড. মো. আখতারুজ্জামান: আমরা অনেক ঘাটতি নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছি। আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে নেই এ কথাটি সত্য নয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের পিছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমাদের যে ঘাটতি রয়েছে, সেগুলো দূর করে সেটি আরও কীভাবে উপরে ওঠানো যায়, সে লক্ষ্য থাকবে। শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটাতে পারলে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারব। তারপরও অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেধার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।

টিডিসি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কী কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। 

ড. মো. আখতারুজ্জামান: বঙ্গবন্ধু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ। একই সূত্রে গাঁথা। একটির ইতিহাস অন্যটির ছাড়া হয় না। সে কারণে ২০২০ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন একটি বাড়তি আনন্দ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের কর্মসূচিগুলো ভিন্ন প্রকৃতির করব। আমরা তাকে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করব। এ উপলক্ষে একজন আন্তর্জাতিক মানের কনভোকেশন স্পিকার খোঁজা হচ্ছে। সেই সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ডিগ্রিটি প্রদান করবেন। সেই প্রস্তুতিটা আমাদের আছে। আমরা সেদিন দিবসটিকে তাৎপর্যময় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ দুটিকে স্মারক হিসেবে রাখতে ক্যাম্পাসের কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করব। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে এ কাজটি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এছাড়া আমরা বিদেশ থেকে নামিদামি মানুষ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক লেকচারের ব্যবস্থাও করব। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নানাবিদ উপায়ে আমরা আমাদের কর্মসূচিগুলো সাজাচ্ছি।

টিডিসি: আগামী ৩১ জুলাই সিনেটের অধিবেশনের মাধ্যমে ভিসি প্যানেল নির্বাচন করা হবে। এ সিদ্ধান্তটি কীভাবে নেওয়া হয়েছে?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ। স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্রের জন্য যেটি বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটাই যথার্থভাবে ধারণ করতে পেরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিকাশ হতে হয়, তাহলে এমন আইন থাকতে হবে। এ আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে। পরে সিনেটের প্যানেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ভিসিকে নিয়োগ দেবেন। তাই ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ ধারণ করতে হলে সে পথে আমাদের এগোতে হবে। কোনো ক্রমেই এটির ব্যত্যয় ঘটা উচিত নয়। তাই যখনই সুযোগ হলো তখনই সিনেটে ভিসি প্যানেল নির্বাচন দিয়েছি। আগামী ৩১ জুলাই এটি হবে। ভিসি প্যানেল নির্বাচন দেওয়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। এক. আদালতের নির্দেশনা ছিল সিনেট পূর্ণাঙ্গকরণ করা। দুই. রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের নির্দেশনা। আমি ভিসি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যখন উনার সাক্ষতে গেলাম তখন তিনি বলেছিলেন, যে ডাকসু তিন দশক ধরে হয় না, এগুলো নিয়ে আপনারা ভাবতে পরেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের নিদের্শনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে ডাকসু নির্বাচন দিয়েছে। তারপর আদালতের নির্দেশনা ছিল যে, সিনেট পূর্ণাঙ্গকরণ করা। সেটি করতে গেলে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। কারণ, পাঁচজন প্রতিনিধি ওখানে আছে। ফলে ডাকসু নির্বাচন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। তারপর সিনেট সদস্য পূর্ণাঙ্গ করেই ভিসি প্যানেল নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো কালক্ষেপণ করতে চাইনি আমি। 

টিডিসি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কেমন?

ড. মো. আখতারুজ্জামান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে একটি স্ট্যান্ডার্ড মান রয়েছে। আমরা সেই মান বজায় রেখে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সেটার দায়িত্বে রয়েছে। তারপরও সময়ের আলোকে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে ভাবার সুযোগ পাবে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীতে হয়তো আমাদের ভাবতে হবে শিক্ষার্থীদের বোঝা লাঘব হতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

টিডিসি: আপনাকে ধন্যবাদ।

ড. মো. আখতারুজ্জামান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ