কলাগাছ থেকে উন্নতমানের গোখাদ্য বানানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন শিক্ষকের

‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ মেলায় গোখাদ্য তৈরির কৌশল প্রদর্শন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর
‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ মেলায় গোখাদ্য তৈরির কৌশল প্রদর্শন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর  © সংগৃহীত

কলাগাছ থেকে কলা কেটে নেওয়ার পর গাছের কাণ্ডকে প্রক্রিয়াজাত করে উন্নতমানের গোখাদ্য বানানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর ও তার স্ত্রী জুবাইদা গুলশান।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জামালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় ‘প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২২’ মেলায় গোখাদ্য তৈরির কৌশল প্রদর্শন করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর।

দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন করেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন।

আরও পড়ুন: ভেটেরিনারিতে দেশসেরা বাকৃবি

গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম আহসান কবীর বলেন, প্রথমে কলাগাছের কাণ্ড মেশিনের সাহায্যে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে আর্দ্রতা শতকরা ৬৫ থেকে ৭০ ভাগে আনা হয়। তারপর এর সঙ্গে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান মিশিয়ে বায়ুরোধী ড্রাম বা ব্যাগে বায়ুশূন্য অবস্থায় ৭ থেকে ১৪ দিন গাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

‘‘গাজনকৃত এই খাদ্যই কলাগাছের সাইলেজ। আর কলাগাছের সাইলেজকে রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতা শতকরা ৩৫ থেকে ৪০ ভাগে আনার পর সেই খাদ্যকে কলাগাছের হেলেজ বলে। কলাগাছের হেলেজ শতকরা ৪০ থেকে ৬০ ভাগ ও অন্যান্য দানাদার খাদ্যের মিশ্রণে কলাগাছের মিশ্র খাদ্যটি প্রস্তুত করা হয়েছে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রস্তুতকৃত গোখাদ্যগুলো খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণসম্পন্ন।’’

তিনি বলেন, কলা গাছ এক বর্ষজীবী উদ্ভিদ। বছরে একবার ফল দিয়েই গাছ মারা যায়। গাছ থেকে কলা সংগ্রহের পর গাছের বাকি অংশ (কাণ্ড) পরিবেশে বর্জ্য হিসেবে থেকে যায়। প্রতি টন কলা উৎপাদনে দ্বিগুণ পরিমাণে কলাগাছের বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার কোনো ব্যবহার নেই বললেই চলে।

কলা গাছের বর্জ্য পরিবেশে ফেলে রাখলে পরিবেশ দূষণ হয় উল্লেখ করে এ অধ্যাপক বলেন,পরিবেশ দূষণরোধ ও গোখাদ্যের বিকল্প হিসেবে কলাগাছ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে গবেষণাটি শুরু করেছিলাম। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম দামে গোখাদ্য তৈরি করা সম্ভব। এতে খামারিরা অল্প খরচে গবাদি পশু পালন করে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence