আর্থিক সংকটে আটকে গেল করোনা ডাক্তার অ্যাপ

আর্থিক সংকটে আটকে গেল করোনা ডাক্তার অ্যাপ
আর্থিক সংকটে আটকে গেল করোনা ডাক্তার অ্যাপ

করোনা চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ ‘ডাক্তার করোনার’ কারিগরি সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এটি ব্যবহার উপযোগী করতে আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। স্পন্সর না পেলে অসম্পন্ন থেকে যাবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তিন শিক্ষার্থীর এই আবিষ্কার।

দীর্ঘ দেড় মাসের গবেষণা এবং প্রচেষ্টায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার ও এস কে ফয়সাল আহমেদ এবং চুয়েট শিক্ষার্থী অভিষেক দাস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে করোনা চিকিৎসার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘ডাক্তার করোনা’ তৈরির কাজে হাত দেন।

ইতিমধ্যে অ্যাপটি তৈরির সব ধরণের কারিগরি কাজ সম্পন্ন হয়েছে- দাবি ওই তরুণ গবেষকদের। তবে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে এটিকে মোবাইল অ্যাপ আকারে ব্যবহার উপযোগী করার সামর্থ্য নেই বলে জানিয়েছেন ওই তিন শিক্ষার্থী। গবেষক দলের প্রধান আহমেদ কাওছার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অ্যাপটিকে ব্যবহার উপযোগী করতে হলে আমাদের বিশাল অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের পক্ষে তা ব্যয় করা সম্ভব নয়।

তিনি জানান, আমরা দেশের স্বার্থে একটি ভালো কাজ করতে চাচ্ছি। যা থেকে সর্বস্তরের জনগণ উপকৃত হতে পারবে। এখন কেউ যদি দেশের স্বার্থে আমাদের সাথে এগিয়ে আসে, তাহলে জনগণের জন্য এটি ফলপ্রসূ হবে।

অ্যাপটি তৈরিতে এর ব্যয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এর কাজগুলো বিভিন্ন ডেভেলপারকে ভাগ দিয়ে করছি। যার জন্য সর্বমোট দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করতে হবে।

নতুন উদ্ভাবিত অ্যাপটি করোনারোগীর লক্ষণ শুনে জানাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছে কিনা। এটি তৈরিতে ১৩ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অ্যাপটি নিবিড় তত্বাবধানের মাধ্যমে সহায়তা করবে আক্রান্ত রোগীকে। এছাড়া করোনা সংক্রমিত রোগী ও হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা মানুষের সাথে গান, গল্প ও কবিতার আড্ডা জমাবে এবং থাকবে বন্ধুর মতো হয়ে। পরবর্তীতে করোনা মুক্ত হলে জানাবে রোগ নিরাময়ের খবরও।

এছাড়াও একজন রোগীর সাথে সরাসরি বাংলা ভাষায় কথা বলবে এই অ্যাপ। করোনা সম্পর্কে এটি যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিবে। সব ধরণের তথ্য (নাম্বার, পুলিশ লাইন, আপডেট ইনফরমেশন ইত্যাদি) দিয়ে এর ব্যবহারকারীকে সহায়তা করবে। করোনা সন্দেহজনক একজন রোগীকে ডাক্তারের ন্যায় প্রশ্ন করে তার লক্ষণ বিচার করে রোগীকে ভালো একটি দৈনিক রুটিন দিবে। করোনা চেকআপ করে আবার আপডেট তথ্য অনুযায়ী রোগীর রুটিন পরিবর্তন করতে পারবে।


সর্বশেষ সংবাদ