করোনা শনাক্তের কিটের ফর্মুলা উন্মুক্ত করতে রাজি আছি: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কিটের ফর্মুলা প্রয়োজন হলে উন্মুক্ত করতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল আগে সরকারি চাকরি করতেন। অবসরের পর সিঙ্গাপুরে গবেষক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। আগে সার্স পরীক্ষার জন্যও তিনি কিট উদ্ভাবন করেন। চীন সেই পেটেন্ট কিনে নিয়েছিল।

তিনি বলেন, উহানের ঘটনা প্রকাশের পর তিনি ও তাঁর দল গুরুত্বটা দ্রুত বোঝেন। মার্চে তাঁরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের তাঁরা শনাক্ত করতে পারবেন। আমাদের উদ্ভাবিত কিটে সময় একটু বেশি লাগবে। এতে কারও শরীরে জীবাণু ঢোকার ৭২ ঘণ্টা পেরোতে হবে। এরপর কোভিড–১৯–এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, দামের বিবেচনায় আমাদের উদ্ভাবন অনেক সাশ্রয়ী। পিসিআর পদ্ধতিতে কিটের দামসহ খরচ পড়ে প্রতি পরীক্ষায় ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে আমাদের কিট দিয়ে খরচ পড়বে আড়াইশ’ টাকা, ফল পেতে অনধিক ১৫ মিনিট লাগবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সিডিসি, আটলান্টাসহ কিছু বিদেশি সংস্থা যোগাযোগ করেছে। আমরা সবার সঙ্গেই সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্কমুক্ত সরঞ্জাম আমদানির অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধা না পেলে কিটের খরচ পাঁচ শ টাকা পড়ত।

তিনি বলেন, সরকারি বা বেসরকারি যারাই কিট বাজারজাতকরণে এগিয়ে আসবে, তাদের আমরা স্বাগত জানাব। শর্ত হলো কেউ ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করতে পারবে না। এক মাসের মধ্যে এটি বাজারে আনতে পারব। তবে সেটা মাসিক উৎপাদন এক লাখ কিটের বেশি হবে না। বাস্তবে মাসিক চাহিদার পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে। সেজন্য আমরা চাই রাষ্ট্র কিট তৈরিতে এগিয়ে আসুক।
কিটের মান নিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের টাকায় এমন বিজ্ঞাপন অনাবশ্যক ও দুঃখজনক। কারণ, নিরাপত্তার প্রশ্ন অবান্তর, কিট তো কারও শরীরে প্রবেশ করবে না। এক ফোঁটা রক্ত পেলে আমরা বলতে পারব কারও করোনা হয়েছে কি হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ