আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছে চবি অধ্যাপকের কমিউনিটি রেডিও গবেষণা

  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে কমিউনিটি রেডিওর সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধ্যাপক ড. সহিদ উল্যাহ দীর্ঘদিন বাংলাদেশের উন্নয়ন যোগাযোগ ও কমিউনিটি রেডিও নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তাঁর সম্পাদিত একাধিক মৌলিক গবেষণা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিদ্যায়তনিক সাময়িকী (জার্নাল) ও গ্রন্থে প্রকাশিত এবং প্রশংসিত হয়েছে।

এবার কমিউনিটি রেডিও গবেষণায় আরো একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। সমাজের প্রান্তিক মানুষের কাছে কমিউনিটি রেডিওর প্রয়োজনীয়তা এবং দুর্গম অঞ্চলে বার্তা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ নতুন বিদ্যায়তিনক ও তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা সামনে এসেছে। সম্প্রতি কমিউনিটি রেডিও নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যায়তনিক গবেষণায় এই সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের নামে।

ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞাপন ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. অংকুরণ দত্ত ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. সহিদ উল্যাহ (লিপন) গবেষণাগ্রন্থটির যৌথ সম্পাদনা করেন। ১৫টি মৌলিক প্রবন্ধ সংবলিত গ্রন্থটির প্রকাশক ভারতের প্রখ্যাত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা এ আরএমটি সাউথ এশিয়া পাবলিকেশন।

২৯৮ পৃষ্ঠার এ গবেষণা গ্রন্থটির প্রশংসা করে পাঠপ্রতিক্রিয়া দিয়েছেন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মৃদুল হাজারিকা এবং কানাডার কমনওয়েলথ অফ লার্নিং-এর এডুকেশন স্পেশালিস্ট ড. সঞ্জয় মিশ্র।

‘Invisible Waves, Visible Changes: Community Radio Movement in Bangladesh’ শিরোনামে ভারতের আসামের গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই অধ্যাপকের সম্পাদিত এই গবেষণাটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

এ উপলক্ষে ২৮ আগস্ট বুধবার চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনাড়ম্বরভাবে ‘পুস্তক হস্তান্তর’ অনুষ্ঠিত হয়।

চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও উন্নয়ন যোগাযোগের মৌলিক গবেষণায় ড. সহিদ উল্যাহর এই নবতর সংযোজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার-উন্মোচন করবে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের মাঝে কমিউনিটি রেডিওর প্রসার ও জনপ্রিয়তা লাভে এই গবেষণাগ্রন্থটি বাংলাদেশ-ভারতে পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশাবাদী অধ্যাপক ড. সহিদ উল্যাহ। এছাড়াও গ্রামীণ-প্রান্তিক এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে এবং উন্নয়নে গবেষণাগ্রন্থটি কাজে আসলে গবেষণার প্রসার হবে বলে মনে করেন তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সভাপতি, সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা গ্রন্থের অন্যতম প্রবন্ধকার মোরশেদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও রাজীব নন্দী।

 


সর্বশেষ সংবাদ