অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পরিবেশবান্ধব এসি আবিষ্কার

  © সংগৃহীত

এসির কারনে পরিবেশের ক্ষতির কথা কারো অজানা নয়। তবে গরমের হাত থেকে বাঁচতে এসির কোন বিকল্পও নেই। এমন এসির যদি আবিষ্কার হয় যেখানে এসিও চলবে আবার পরিবেশেরও ক্ষতি সাধন হবেনা তাহলে একে এক দুই মিলে যাবে।

এবার এমনি এক পরিবেশবান্ধব এসি আবিষ্কারের দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের এক কলেজছাত্র। তার নাম শরীফুল ইসলাম এবং তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন। এই আবিষ্কার নিয়ে শনিবার দুপুরে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন শরীফুল ইসলাম। সেখানে শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সাল থেকে এমন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) উদ্ভাবনে নিরলস পরিশ্রম করেছেন তিনি।

সেখানে তার আবিষ্কারের প্রযুক্তির মেধা সত্ত্ব চুরি হয়ে যেতে পারে এমন আশংকা প্রকাশ করে সেটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়ার কথা বলেন শরীফুল। শরীফুল ইসলাম দাবি করেন, তার আবিষ্কৃত যন্ত্রটি সাশ্রয়ী এবং সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত। কারণ এই এসির ঠাণ্ডাকরণ প্রক্রিয়ার কাজে সিএফসি গ্যাস ব্যবহৃত হবে না। এ প্রক্রিয়াটি বিদ্যুৎ বা জ্বালানী সাশ্রয়ী দাবি করে শরীফুল জানান, বর্তমানে এক টন এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয়প্রায় ২ হাজার ওয়াট। আর তার উদ্ভাবিত এই এসিটি মাত্র ১৫০ ওয়াট বিদ্যুতেই চলবে। অর্থাৎ ৯০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করবে এই এসি।

শরীফুল বলেন, বর্তমান বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাস ব্যবহার করে শীতাতপ যন্ত্রসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডাকরণ যন্ত্র তৈরি করা হয়। এসব যন্ত্র বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরের ক্ষতি করছে। যা পৃথিবীর বাসিন্দাদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। ওজন স্তরের ক্ষতি হলে পৃথিবীতে সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি চলে আসবে এবং ক্যান্সারসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং চোখে অসময়ে ছানি পড়বে।

তার (শরিফুলের) সিএফসি গ্যাসবিহীন এসি ব্যবহার করলে এ বিষয়টি এড়ানো যাবে বলে দাবি শরীফুলের। শরীফুল তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন শরীফ পিউর কুলিং টেকনোলজি বা এসপিসিটি।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন বলেন, শরীফুলের উদ্ভাবিত যন্ত্রের কথা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে চেষ্টা করব। এজন্য শরীফুলকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবেন বলে শরীফুলকে আশ্বস্ত করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ