ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জীবনরহস্য উন্মোচন

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল  © সংগৃহীত

‘ব্ল্যাক বেঙ্গলে’ জাতের ছাগলের জীবনরহস্য উন্মোচন (জিনোম সিকোয়েন্সিং) করেছেন বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশু পালন বিভাগের অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে বিজ্ঞানী এই গবেষণা পরিচালনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক সংস্থা এনসিবিআই থেকে গত রবিবার এটি নিবন্ধন পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার জীবনরহস্য উন্মোচনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে পুরো গবেষণাটি হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাগলের এই জাতের নমুনা সরবরাহ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কম্পিউটারে ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়।

বিজ্ঞানী দলের সদস্যরা জানান, এই উদ্ভাবন এই ছাগলের জাতের আরও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ওই ছাগলের ওজন ও মাংসের পরিমাণ বাড়ানো এবং মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দলটি পরবর্তী ধাপে গবেষণা করবে বলে জানিয়েছে।

বিজ্ঞানী দলের প্রধান বজলুর রহমান মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অল্প জায়গায় পালন করা যায়, দ্রুত বড় হয় বলে একে গরিবের গাভি বলা হয়। কিন্তু এই ছাগলের আকৃতি একটু ছোট ও মাংস কম হয়। জীবনরহস্য উন্মোচনের ফলে এখন এর কোন কোন জিন তার আকৃতি ও শরীরে মাংসের পরিমাণ নির্ধারণ করে, তা জানা যাবে। ফলে আরও উন্নত জাত উদ্ভাবন করা সহজ হবে।

বাংলাদেশে মোট ছাগলের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৭৬ লাখ, যার ৯০ শতাংশই ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের।  ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস বিশ্বজুড়ে কুষ্টিয়া গ্রেড নামে পরিচিত, যা বিশ্বের অন্যতম সেরা ছাগলের মাংস হিসেবে সমাদৃত। এরা দ্রুত প্রজননশীল, চামড়া উন্নত মানের এবং উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার উপযোগী। 


সর্বশেষ সংবাদ